পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

си 86) ভঁজতে থাকে, তা হলে তুমি তাকে জগন্মাতার পবিত্র মন্দির থেকে দূর-দূর করে খেদিয়ে দেবে না केि । fb (< | তা হলে বুঝতে পারছি আমরা যে সুমহৎ ব্ৰত নিয়েছি তার সার্থকতা। আমরা শক্ত ডাঙার শাক্ত সন্তান, বেসুরমন্ত্রে দীক্ষিত। আধমরা দেশের চিকিৎসায় প্রয়োগ করতে চাই চরম মুষ্টিযোগ। জাগরণ চাই, বল চাই। জাগরণ শুরু হয়েছে পাড়ায় ; প্রতিবেশীদের বলিষ্ঠতা দুমদাম শব্দে দুৰ্দাম হচ্ছে, পৃষ্ঠদেশে তার প্রমাণ পাচ্ছে আমার চেলারা । ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কোতোয়ালরা চঞ্চল হয়ে উঠেছে, টনক নড়েছে শাসনকর্তাদের । তোমার শুরু বলছেন কী । তিনি মহানন্দে মগ্ন । দিব্যচক্ষে দেখতে পাচ্ছেন, বেসুরের নবযুগ এসেছে সমস্ত জগতে । সভ্য জাতরা আজ বলছে, বেসুরটাতেই বাস্তব, ওতেই পুঞ্জীভূত পীেরুষ, সুরের মেয়েমানুষই দুর্বল করেছে সভ্যতা। ওদের শাসনকর্তা বলছে, জোর চাই, খৃস্টানি চাই নে। রাষ্ট্রবিধিতে বেসুর চড়ে যাচ্ছে পর্দায় পর্দায় । সেটা কি তোমার চোখে পড়ে নি, দাদা । চোখে পড়বার দরকার কী, ভাই। পিঠে পড়ছে দমাদম | এ দিকে বেতালপঞ্চবিংশতিই চাপল সাহিত্যের ঘাড়ে। আনন্দ করো, বাংলাও ওদের পছু K(SG | সে তো দেখছি। পাছু ধরতে বাংলা কোনোদিন পিছপাও নয় । এ দিকে গুরুর আদেশে বেসুরমন্ত্ৰ সাধন করবার জন্যে আমরা হৈহৈসংঘ স্থাপন করেছি। দলে একজন কবি জুটেছে। তার চেহারা দেখে আশী হয়েছিল নবযুগ মূর্তিমান । রচনা দেখে ভুল ভাঙল ; দেখি তোমারই চেলা । হাজার বার করে বলছি, ছন্দের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলো গদাঘাতে । বলছি, অর্থমনৰ্থং ভাবয়নিত্যম। বুঝিয়ে দিলেম, কথার মানেটাকে সম্মান করায় কেবল দাসবৃদ্ধির গাঠপড়া মনটাই ধরা পড়ে। ফল হচ্ছে না। বেচারার দোষ নেই- গলদঘর্ম হয়ে ওঠে, তবু ভদ্রলোকি কাব্যের ছাদ ঘোচাতে পারে না। ওকে রেখেছি পরীক্ষাধীনে। প্রথম নমুনা যেটা সমিতির কাছে দাখিল করেছে সেটা শুনিয়ে দিই। সুর দিয়ে শোনাতে পারব না। সেইজন্যেই তোমাকে ঘরে ঢুকতে দিতে সাহস হয় । ७द अदन सों পায়ে পড়ি শোনো ভাই গাইয়ে, হৈহৈপাড়া ছেড়ে দূর দিয়ে যাইয়ে । হেথা সা-রে গা-মা পায়ে সুরাসুরে যুদ্ধ, শুদ্ধ কোমলগুলো বেবাক অশুদ্ধঅভেদ রাগিণীরাগে ভগিনী ও ভাইয়ে । তার-চেঁড়া তাম্বুরা, তাল-কটা বাজিয়েদিনরাত বেধে যায় কাজিয়ে বঁপতালে দাদরায় চোতালে ধামারে a(ga tagতেরে কেটে মেরে কেটে ধাধা ধাধা ধাইয়ে । সভাসুদ্ধ একবাক্যে বলে উঠলুম, এ চলবে না। এখনো জাতের মায়া ছাড়তে পারে নিশুচিবায়ুগ্ৰন্ত, নাড়ী দুর্বল। আমরা বেছন্দ চাই বেপরোয়া। কবির মেয়াদ কড়িয়ে দেওয়া গেল। বললুম, আরো একবার কোমর বেঁধে লাগো, বাঙালি ছেলেদের কানে জোরের কথা হাতুড়ি পিটিয়ে চালিয়ে দাও, মনে রেখে পিটুনির চোটে ঠেলা মেরে জোর চালানো আজ পৃথিবীর সর্বত্রই প্রচলিতবাঙালি শুধু কি ঘুমায়ে রয়। দেখলুম, লোকটার অন্তঃকরণ পাক খেয়ে উঠেছে । বলে উঠল, নয় নয়,