পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sits বিজ্ঞানী দাদামশায়, নীলমণিবাবুকে তোমার এত কেন ভালো লাগে আমি তো বুঝতে পারি নে। এই প্রশ্নটা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্ত প্রশ্ন, এর ঠিক উত্তর ক'জন লোকে দিতে পারে। তোমার হেঁয়ালি রাখে। অমন এলোমেলো আলুথালু অগোছালো লোককে মেয়েরা দেখতে পারে ওটা তো হল সাটিফিকেট, অর্থাৎ লোকটা খাটি পুরুষমানুষ। জান না তুমি, উনি কথায় কথায় কী রকম হুলুস্কুল বাধিয়ে তোলেন । হাতের কাছে যেটা আছে সেটা ওঁর হাতেই ঠেকে না । সেটা উনি খুঁজে বেড়ান পাড়ায় পাড়ায় । ভক্তি হচ্ছে তো লোকটার উপরে । কেন শুনি । হাতের কাছের জিনিসটাই যে সবচেয়ে দূরের সে ক'জন লোক জানে, অথচ নিশ্চিন্ত হয়ে থাকে। একটা দৃষ্টান্ত দেখাও দেখি । যেমন তুমি । আমাকে তুমি খুঁজে পাও নি বুঝি ? খুঁজে পেলে যে রস মারা যেত, যত খুঁজছি তত অবাক হচ্ছি। আবার তোমার হেঁয়ালি । উপায় নেই। দিদি, আমার কাছে আজও তুমি সহজ নও, নিত্য নূতন । কুসমি দাদামশায়ের গলা জড়িয়ে বললে, দাদামশায়, এটা কিন্তু শোনাচ্ছে ভালো। কিন্তু, ও কথা থােক । নীলুবাবুর বাড়িতে কাল কী রকম হুলুঙ্গুল বেধেছিল সে খবরটা বিধুমামার কাছে শোনো-না। मैं (शा भाभा, की झुहिल उनि । অদ্ভূত-বিধুমামা বললেন, পাড়ায় রব উঠল। নীলুবাবুর কলমটা পাওয়া যাচ্ছে না ; খোজ পড়ে গৈল মশারির চালে পর্যন্ত । ডেকে পাঠালে পাড়ার মাধুবাবুকে । বললে, ওহে মধু, আমার কলমটা ? মাধুবাবু বললেন, জানলে খবর দিতুম | ধোবাকে ডাক পড়ল, ডাক পড়ল। হারু নাপিতকে । বাড়িসুদ্ধ সবাই যখন হাল ছেড়ে দিয়েছে তখন তাঁর ভাগ্নে এসে বললে, কলাম যে তোমার কানেই আছে গোজা । যখন কোনো সন্দেহ রইল না। তখন ভাগ্নের গালে এক চড় মেরে বললে, বোকা কোথাকার, যে কলামটা পাওয়া যাচ্ছে না সেটাই খুঁজছি। রান্নাঘর থেকে স্ত্রী এল বেরিয়ে ; বললে, বাড়ি মাথায় করেছ যে । নীলু বললে, যে কলামটা চাই ঠিক সেই কলমটা খুঁজে পাচ্ছি না। বউদ্দি বললে, যেটা পেয়েছ। সেই দিয়েই কাজ চালিয়ে নেও, যেটা পাওনি সেটা কোথাও পাৰে নীলু বললে, অন্তত সেটা পাওয়া যেতে পারে কুণ্ডুদের দোকানে । 9 OS