পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8br8 রবীন্দ্র-রচনাবলী থাকেন। কপনি পারে। এক পয়সা সম্বল নেই। এসব লম্বাচওড়া বুলি ঠাকেই সাজে। আমরা গোল মানুষ, শুনে চক্ষুস্থির হয়ে যায়। এদিকে আর-এক নতুন ফন্দি বেরিয়েছে জানেন তো ? ঐ যে যাকে আপনারা বলেন চাদা। তার মুনাফা কম নয়। কিন্তু সেটা তলিয়ে যায় কোথায় তার হিসেব রাখে। কে। মশায়, সেদিন আমারই ঘরে এসে উপস্থিত অনাথ-হাসপাতালের চান্দা চাইতে । লজ্জা হয়, কী আহ বলব । খাতা হাতে যিনি এসেছিলেন। আপনারা সবাই তাকে জানেন । ডাক্তারী- আর নাম করে কাছ নেই, কে আবার তার কানে ওঠাবে। তিনি যে মাঝে মাঝে আসেন আমাদের ঘরে নাড়ী টিপতে । সিকি পয়সা দিতে হয় না বটে, তেমনি সিকি পয়সার ফলও পাই নে। তবু হাজার হােক, এম, বি, তো বটে। এমনি হাল আমলের তার চিকিৎসা যে রোগীরা তার কাছে ঘেঁষে না। কাজেই টাকার টানাটনি হয় বৈকি । ईि छेि, की बलछ एशि। তা মশায়, আমি মুখফোঁড় মানুষ । সত্যি কথা আমার বাধে না । ওঁর মুখের সামনেই শুনিয়ে দিতে পারতুম। কিন্তু কী বলব, আমার ছেলেটাকে আদায়ের কাজে রেখে আমার মুখ বন্ধ করেছেন। তার কাছ থেকেও মাঝে মাঝে ইশারা পাই। দক্ষিণহস্ত বেশ চলছে ভালো। বুঝছেন তো ? আমাদের দেশে আজকালকার ইতারমি যে কী রকম অসহ্য, তার-একটা নমুনা আপনাকে শোনাই। কী রকম । আমাদের পাড়ায় আছে একটা গোমুখু যাকে ওরা নাম দিয়েছে কবিবর। তাকে দিয়ে দেখুন আমার নামে কী লিখিয়েছে। ঘোর লাইবেল। নিন্দুকেরা দল পাকিয়েছে। পাড়ায় কান পাতবার জো নেই। খ্যাকশিয়ালি বলে চেঁচাচ্ছে আমার পিছনে পিছনে। এত সাহস হত না। যদি-না এদের পিছনে থাকত নামজাদা মুরুব্বি সব গান্ধিজির চেলা । দেখি দেখি কী লিখেছে। মন্দ হয় নি তো । লোকটার হাত দোরস্ত আছে - আলো যার মিটমিট, স্বভাবটা খিটখিটে, বড়োকে করিতে চায় ছোটো, সব ছবি ডুবো মেজে কালো করে নিজেকে যে মনে করে ওস্তাদ পোটো, বিধাতার অভিশাপে ঘুরে মরে ঝোপে ঝাপে, স্বভাবটা যার বদখেয়ালি, খ্যাক-খ্যাক করে মিছে जब ७७ ठि शि5 তারে নাম দিব খ্যাকশেয়ালি। ও কী ও, আপনার দরজায় পুলিস যে । ব্যাপারটা কী । চণ্ডীবাবুর ছেলের নামে কেস এসেছে। হ্যা, কিসের কেস । অনাথ-হাসপাতালের চাদার টাকা তিনি ভেঙে বসেছেন। মিথ্যে কথা। আগাগোড়া পুলিসের সাজানো। আপনি তো জানেন, আমার ছেলে এক সময় আহার নিদ্রা ছেড়ে গন্ধির নামে দরজায় দরজায় ট্যাদা ভিক্ষে করে বেড়িয়েছিল, সেই অবধি বরাবর তার উপর পুলিসের নজর লেগে আছে। কিছু না, এটা পলিটিকাল মামলা ।