পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 wy রবীন্দ্র-রচনাবলী এক যে ছিল রাজা, তার ছিল না। রাজরানী। রাজকন্যার সন্ধানে দূত গেল অঙ্গ বঙ্গ কলিঙ্গ মাগ কৌশল কান্ধী। তারা এসে খুবর দেয় যে, মহারাজ, সে কী দেখলুম ; কারু চােখের জলে মুক্ত কৰে। কারু, হাসিতে খসে পড়ে মানিক! কারু দেহ চাঁদের আলোয় গড়া, সে যেন পূর্ণিমারাত্রের স্বথা। রাজা শুনেই বুঝলেন, কথাগুলি বাড়িয়ে বলা, রাজার ভাগে সত্য কথা জোটে না অনুচরদের মুখের থেকে । তিনি বললেন, আমি নিজে যাব দেখতে । সেনাপতি বললেন, তবে ফৌজ ডাকি ? রাজা বললেন, লড়াই করতে যাচ্ছি নে । মন্ত্রী বললেন, তবে পাত্ৰ-মিত্রদের খবর দিই ? রাজা বললেন, পাত্ৰ-মিত্রদের পছন্দ নিয়ে কন্যা দেখার কাজ চলে না। তা হলে রাজহান্তী তৈরি করতে বলে দিই ? রাজা বললেন, আমার একজোড়া পা আছে। সঙ্গে কয়জন যাবে পেয়াদা ? রাজা বললেন, যাবে আমার ছায়াটা । আচ্ছা, তা হলে রাজবেশ পরুন— চুনিপান্নার হার, মানিক-লাগানাে মুকুট, হীরে লাগানাে কঁােকন আর গাজমোতির কানবালা । রাজা বললেন, আমি রাজার সঙ সেজেই থাকি, এবার সাজব সল্লেসির সঙ। মাথায় লাগলেন জটা, পরলেন। কপনি, গায়ে মাখলেন ছাই, কপালে আঁকলেন তিলক আর হাতে নিলেন কমণ্ডলু আর বেলকাঠের দণ্ড । ‘বােম বােম মহাদেব বলে বেরিয়ে পড়লেন পথে। দেশে দেশে রটে গেল— বাবা পিনাকীশ্বর নেমে এসেছেন হিমালয়ের গুহা থেকে, তার একশো-পঁচিশ বছরের তপস্যা শেষ হল । রাজা প্রথমে গেলেন অঙ্গদেশে। রাজকন্যা খবর পেয়ে বললেন, ডাকো আমার কাছে। কন্যার গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামল, চুলের রঙ যেন ফিঙের পালক, চােখ দুটিতে হরিণের চমকে-ওঠা ঢািহনি। তিনি বসে বসে সাজ করছেন। কোনাে ধাদি নিয়ে এল স্বর্ণচন্দন বাটা, তাতে মুখের রঙ হবে যেন চাপা ফুলের মতো। কেউ বা আনল ভৃঙ্গলাঞ্ছন তেল, তাতে চুল হবে যেন পম্পসরোবরের ঢেউ। কেউ বা আনল মাকড়সাজাল শাড়ি । কেউ বা আনল হাওয়াহালকা ওড়না। এই করতে করতে দিনের তিনটে প্রহর যায় কেটে। কিছুতেই কিছু মনের মতো হয় না। সল্লেসিকে বললেন, বাবা, আমাকে এমন চােখ-ভোলানো সাজের সন্ধান বলে দাও, যাতে রাজরাজেশ্বরের লেগে যায় ধাঁধা, রাজকর্ম যায় ঘুচে, কেবল আমার মুখের দিকে তাকিয়ে দিনরাত্রি কাটে। भागैी राजप्लन, आक्ष-किडू१ फॉश ना ? সন্ন্যাসী বললেন, সেই মন্ত্র আমি সন্ধান করতে বেরলুম। যদি পাই তবে ফিরে এসে দেখা হবে। বলে তিনি গেলেন চলে । গেলেন কলিঙ্গে। সেখানে আর-এক হাওয়া অন্দরমহলে। রাজকন্যা মন্ত্রণা করছেন কী করে কান্ধী জয় করে তার সেনাপতি সেখানকার মহিষীর মাথা ষ্ট্রেট করে দিতে পারে, আর কৌশলের গুমারও তার সহ্য হয় না। তার রাজলক্ষ্মীকে ধাদী করে তার পায়ে তেল দিতে লাগিয়ে দেবেন। সন্ন্যাসীর খবর পেয়ে ডেকে পাঠালেন। বললেন, বাবা, শুনেছি সহস্ৰয়ী অস্ত্ৰ আছে থেতষীপে যার