পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@@b” রবীন্দ্র-রচনাবলী পৃথিবীর তাপ সেখানে ঝড়তুফান চালান করতে পারে না। তাই সেখানকার হাওয়া শান্ত। পণ্ডিত A VGB IN RGB stratosphere, RKM VAR «PRI VJV || আদি সূর্য থেকে যেমন পৃথিবী বেরিয়ে এসেছে তেমনি বাষ্পদেহী আদিম পৃথিবী থেকে বেরিয়ে এসেছে। চাঁদ। তার পরে কোটি কোটি বৎসরে পৃথিবী ঠাণ্ডা হয়ে শক্ত হল, টাদও হল তাই। ২ লক্ষ ৩৯ হাজার মাইল দূরে থেকে ২৭ */. দিনে চাঁদ পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করছে। সেই প্ৰদক্ষিণের কালে কেবল একটা পিঠ। পৃথিবীর দিকে ফিরিয়ে রেখেছে। এর ব্যাস প্রায় ২১৬০ মাইল এর উপাদান জল থেকে ৩*/, গুণ ভারী। অন্যান্য গ্ৰহনক্ষত্রের তুলনায় পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব খুবই কম বলে একে এত উজ্জ্বল ও আয়তনে এত বড়ো দেখায়। আশিটি চাদ একসঙ্গে ওজন করলে পৃথিবীর ওজনের সমান হবে। দূরবীনে চাদকে দেখলে স্পষ্টই বোঝা যায় পৃথিবীর মতোই শক্ত জিনিসে এ তৈরি । ওর উপরে আছে বড়ো বড়ো গহবর। আর বড়ো বড়ো পাহাড় । পৃথিবীর টানে চন্দ্ৰ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। এক পাক ঘুরতে তার এক মাসের কিছু কম লাগে। গড়পড়তায় তার গতিবেগ এক সেকেণ্ডে আধ মাইলের বেশি নয়। পৃথিবী ঘোরে সেকেণ্ডে উনিশ মাইল। আপনি মেরুদণ্ডের চার দিকে ঘুরতে চাদের এক মাসের সমােনই লাগে । তার দিন আর বৎসর চলে একই রকম ধীরমন্দ চালে । চাদের ওজন থেকে হিসেব করা হয়েছে যে, কোনো জিনিসের গতিবেগ যদি সেখানে সেকেণ্ডে ১?), মাইল হয় তা হলে চাঁদের টান অগ্রাহ্য করে তা ছুটে বাইরে যেতে পারে। চাঁদ যে নিয়মে অতিমাত্রায় রোদ পোহায় তাতে তার তোতে-ওঠা পিঠের উপরে হাওয়া অত্যন্ত গরম হয়ে ওঠাতে চাঁদ তার বাতাসের অণুদের ধরে রাখতে পারে নি, তারা সবাই গেছে বেরিয়ে । যেখানে হাওয়ার চাপ নেই সেখানে জল খুব তাড়াতাড়ি বাষ্প হয়ে যায়। বাষ্প হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জলের অণু গরমে চঞ্চল হয়ে চাদের বঁাধন ছাড়িয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল । জল-হাওয়া যেখানে নেই। সেখানে কোনো রকমের প্রাণ টিকতে পারে বলে আমরা জানি নে। চাদকে একটা তালপাকানো মরুভূমি বলা যেতে পারে। রাতের বেলায় যাদের আমরা খসে-পড়া তারা বলি সেগুলো যে তারা নয় তা আজ আর কাউকে বলতে হবে না। সেই উল্কাপিণ্ডগুলো পৃথিবীর টানে দিনরাত লাখো লাখো পড়ছে পৃথিবীর উপর। তার অধিকাংশই বাতাসের ঘোষ লেগে জ্বলে উঠে ছাই হয়ে যাচ্ছে। যেগুলো বড়ো আয়তনের, তারা জ্বলতে জ্বলতে মাটিতে এসে পৌঁছয়, বোমার মতো যায় ফোট, চারদিকে যা পায় দেয় ছারখার করে } চাদেও ক্রমাগত এই উল্কাবৃষ্টি হচ্ছে। ওদের ঠেকিয়ে ছাই করে দেবার মতো একটু হাওয়া নেই, অবাধে ওরা ঢেলা মারছে চাদের সর্বাঙ্গে । বেগ কম নয়, সেকেণ্ডে প্রায় ত্ৰিশ মাইল, সুতরাং ঘা মারে সর্বনেশে জোরে । চাদে বড়ো বড়ো গর্তের উৎপত্তি একদা-উৎসারিত অগ্নি-উৎস থেকেই। যে গলন্ত পদার্থ ও ছাই তখন বেরিয়ে এসেছিল, হাওয়া-জল না থাকায় এত যুগ ধরেও তাদের কোনো বদল হতে পারে নি । ছাইঢাকা আছে বলে সূর্যের আলো এই আবরণ ভেদ করে খুব বেশি নীচে যেতে পারে না, আর নীচের Pie ērš v5 90 R চাদের যেদিকে সূর্যের আলো পড়ে তার উত্তাপ প্ৰায় ফুটন্ত জলের সমান, আর যেখানে আলো পড়ে না তা এত ঠাণ্ডা হয় যে বরফের শৈত্যের চেয়ে তা প্ৰায় ২৫০ ফারেনহাইট ডিগ্ৰী নীচে থাকে । চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া এসে যখন চাদের উপরে পড়ে তখন তার উত্তাপ কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রায় ৩৪৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট কমে যায়। হাওয়া না থাকায় ও ছাইয়ের আবরণ থাকায় সূর্যের আলো নীচে প্রবেশ করতে পারে না বলে সঞ্চিত কোনো উত্তাপই চাদে নেই ; তাই এত তাড়াতাড়ি এর উত্তাপ কমে আসে । এ-সব প্রমাণ BB BDBD DDD LS DBBO DB D SBB BK s BDD DD S চাদ পৃথিবীর কাছের উপগ্রহ। তার টানের জোর প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করি পৃথিবীর সমুদ্রগুলোতে,