পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাভাষা-পরিচয় đbrà করি। একটা দৃষ্টান্ত দেখাই अनि ७Iाक नीद्ध वैाक ডাক যে শোনা যায় । অকুল পারি, থামতে নারি, সদাই ধারা ধায় । ধারার টানে তরী চলে, ডাকের চোটে মন যে টলে, টানাটানি ঘুচাও জগার झ्छ दिषभ माम्न । এর মিল, এর মাজাঘষা ছাদ ও শব্দবিন্যাস আধুনিক । তবুও যেটা লক্ষ্য কয়বার বিষয় সে হচ্ছে এর চলতি ভাষা । চলতি ভাষার কবিতা বাংলা শব্দের স্বাভাবিক হসন্তরীপ মেনে নিয়েছে। হসন্তু শব্দ স্বরবর্ণের বাধা না পাওয়াতে পরস্পর জুড়ে যায়, তাতে যুক্তবর্ণের ধ্বনি কানে লাগে। চলতি ভাষার ছন্দ সেই যুক্তবর্ণের ছন্দ। উপরের ঐ কবিতাকে সাধু ভাষার ছন্দে ঢালাই করলে তার চেহারা হয় निम्नलिशि७ भ७ों অচিনের ডাকে নদীটির বঁাকে ডাক যেন শোনা যায় । কুলহীন পাড়ি, থামিতে না পারি, নিশিদিন ধারা ধায় । সে ধারার টানে তীখানি চলে সেই ডাক শুনে মন মোরািটলে, এই টানাটানি ঘুচাও জগার হয়েছে বিষম দায় । যদি উচ্চারণ মেনে বানান করা যেত তা হলে বাউলের গানের চেহারা হত অচিণ্ডাকে নদীর্বাকে ডাকযে শোনা যায়। সাধু ভাষার কবিতায় বাংলা শব্দের হসন্তরীতি যে মানা হয় নি তা নয়, কিন্তু তাদের পরস্পরকে ঠোকাঠুকি ঘেঁষাৰ্ঘেযি করতে দেওয়া হয় না। বাউলের গানে আছে, ‘ডাকের চোটে মন যে টলে । এখানে ‘ডাকের আর ‘চোট’, ‘মন আর ‘যে, এদের মধ্যে উচ্চারণের কোনো ফাক থাকে না । কিন্তু সাধু ভাষার গানে ‘মন আর ‘মের হসন্ত শব্দ হলেও হসন্ত শব্দের স্বভাব রক্ষা করে না, সন্ধির নিয়মে পরম্পর ঐটে যায় না । বাংলা ভাষার সবচেয়ে পুরোনো ছন্দ পয়ারের ছাদের, অর্থাৎ দুই সংখ্যার ওজনে। যেমন খন ডেকে বলে যান। রোদে ধান ছায়ায় পান । দিনে রোদ রাতে জল তাতে বাড়ে ধানের বল । এমনি করে শহতে হতে ছন্দের মধ্যে এসে পড়ে তিনের মাত্রা । যেমন r আনহি বসতি আনহি চাষ, বলে ডাক তাহার বিনাশ । আষাঢ়ে কড়ান নামকে, শ্রাবণে কড়ান ধানকে, ভাদরে কড়ান শিষকে, আধিনে কাড়ােন কিসকে । কিংবা