পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাভাবা-পরিচয় (b) জেলাভেদে এই একারের উচ্চারণ একেবারে বিপরীত হয়। তেল মেঘ পেট লেজ-শিব্দে তার প্রমাণ Ο পূর্বেই দেখিয়েছি আী এবং বাংলা অস্বরবর্ণ সম্বন্ধেইকার এবং উকারের ব্যবহার আধুনিক খবরের কাগজের ভাষায় যাকে বলে চাঞ্চল্যজনক, অর্থাৎ এরা সর্বদা অপঘাত ঘটিয়ে থাকে। কিন্তু এদের অনুগত একারের প্রতি এর সদয় । “এক কিংবা ‘একটা শব্দের এ গেছে বেঁকে, কিন্তু উ তাকে রক্ষা করেছে ‘একুশ শব্দে। রক্ষা করবার শক্তি আকারের নেই, তার প্রমাণ। "এগারো শব্দে । আমরা দেখিয়েছিন এর পূর্বে অ হয়ে যায় ও, যেমন 'ধন ‘মন’ শব্দে। ঐ না একারের বিকৃতি ঘটায় : ফেন সেন কেন যেন । ইকারের পক্ষপাত আছে একায়ের প্রতি, তার প্রমাণ দিতে পারি। "লিখন থেকে হয়েছে “লেখা"- বিশুদ্ধ এ- “গিলন থেকে “গেলা । অথচ “দেখন থেকে “দ্যাখা, ‘বেচনা থেকে ‘ব্যাচা, হেলন থেকে ‘হালা'। অসমাপিকা ক্রিয়ার মধ্যে এদের বিশেষ রূপগ্রহণের মূল পাওয়া যায়, যেমন : লিখিয়া = লেখা (পূর্ববঙ্গে 'লাখ), গিলিয়া=গেলা । কিন্তু ; খেলিয়া= খ্যালা, বেচিয়া=ব্যাচ । মিলন অর্থে আর-একটা শব্দ আছে। ‘মেলন, তার থেকে হয়েছে “মালা, আর “মিলন' থেকে হয়েছে ‘মেলা” (মিলিত হওয়া) । য ফলায় আকার না থাকলেও বাংলায় তার উচ্চারণ অ্যাকার, যেমন ব্যয় শব্দে এটা হল আদ্যক্ষরে। অন্যত্র ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব ঘটায়, যেমন সভা’। পূর্বে বলেছি, ইকারের প্রতি একারের টান। “ব্যক্তি' শব্দের ইকার প্রথম বর্ণে দেয় একার বসিয়ে, "ব্যক্তি’ শব্দ হয়ে যায় ‘বেক্তি' । হ’এর সঙ্গে য ফলা যুক্ত হলে কোথা থেকে জ'এ-ঝএ জটলা করে হয়ে দাঁড়ায় ‘সোজবোঁ । অথচ সহ শব্দটাকে বাঙালি তৎসম বলতে কুষ্ঠিত হয় না। বানানের ছদ্মবেশ ঘুচিয়ে দিলেই দেখা যাবে, বাংলায় তৎসম শব্দ নেই বললেই হয়। এমনকি, কোনো নতুন সংস্কৃত শব্দ আমদানি করলে বাংলার নিয়মে তখনই সেটা প্ৰাকৃত রূপ ধরবে। ফলে হয়েছে, আমরা লিখি এক আর পড়ি আর । অর্থাৎ আমরা লিখি সংস্কৃত ভাষায়, আর ঠিক সেইটেই পড়ি প্রাকৃত বাংলা ভাষায় । যি ফলার উচ্চারণ বাংলায় কোথাও সম্মানিত হয় নি, কিন্তু এক কালে বাংলার ক্রিয়াপদে পথ হারিয়ে সে স্থান পেয়েছিল। ‘খাইল ‘আইল শব্দের “খাল্য “আল্য রূপ প্রাচীন বাংলায় দেখা গিয়েছে। ইকারটা শব্দের মাঝখান থেকে ভ্ৰষ্ট হয়ে শেষকালে গিয়ে পড়াতে এই ইঅর সৃষ্টি হয়েছিল। বাংলার অন্য প্রদেশে এই যফলা-আকারের অভাব নেই, যেমন “মায়্যা মানুষ । বাংলা সাধু ভাষার অসমাপিকা ক্রিয়াপদে যফলা-আকার ছদ্মবেশে আছে, যেমন : হইয়া খাইয়া। প্রাচীন পুঁথিতে অনেক স্থলে তার বানান দেখা যায় ; হিয়া খায়্যা । BBBB BB sLK DBB BTL SOBLSSSLLLL KLL SKELY EE LLL L SLLL খেতে পেতে দিতে নিতে আকার নিয়ে থাকে, কিন্তু “গাওয়া বাওয়া চাওয়া কওয়া বওয়া’ কেন তেমনভাবে হয় না ’গেতে বেতে চেতে ক'তে বতে । এর যে উত্তর আমার মনে এসেছে সে হচ্ছে এই যে, যে ধাতুতে হ’এর প্রভাব আছে তারই লোপ হয় না। "গাওয়ার হিন্দি প্রতিশব্দ “গাহনা', 'চাওয়ার চাহনা, “কওয়া'র কহন । কিন্তু ‘খানা দেন লেনার মধ্যে হ নেই । ‘বাহন' থেকে “বাওয়া, সুতরাং তার সঙ্গে হ’এর সম্বন্ধ আছে। ‘ছাদন ও ছাওয়ার মধ্যপথে বোধ করি ছাহন' ছিল, তাই "ছাইতে’র अशों '(छठ' इष्ट्र भी । স্বরবর্ণের অনুরাগ-বিরাগের সূক্ষ্ম নিয়মভেদ এবং তার স্বৈরাচার কীেভুকজনক। সংস্কৃত উচ্চারণে যে নিয়ম চলেছিল প্রাকৃতে তা চলল না, আবার নানা প্রাকৃতে নানা উচ্চারণ। বাংলাভাষা কয়েক শো বছর আগে যা ছিল এখন তা নেই। এক ভাষা বলে চেনাই শক্ত। আগে বলত ‘পড়ই এখন বলে SLL SBD BDDBLB BBBB ggDS SDDD DuD SDBD SBBDBD DDD SDDD SSE BDz BBB ক্টোক বহু লোককে আশ্ৰয় করে এমন স্বতেবেগে চলছে যেন এ সজীব পদার্থ। হয়তো এই মুহুর্তেই আমাদের উচ্চারণ তার কক্ষপথ থেকে অতি ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে। ফ হচ্ছে, f, ভ হচ্ছে ব্য, চ হচ্ছে *, a(I qi(R PB ş6 Pş RI I