পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

or রবীন্দ্র-রচনাবলী কোনো বিশেষ উহ্য বা ব্যক্ত রূপে থাকেই। “যে গান গাচ্ছে বলতে বোঝায়, যে মানুষ। অন্যত্র যে gि bलएछ नो, 6ण बांद्धि उाgों (क्षgशा शश(छ । “যেই' শব্দের একটি প্রয়োগ আছে, তাতে "মুহুর্তে’ বা ‘ক্ষণে উহ্য থাকে, যথা : যেই এল আমনি চলে গেল, যেই দেখা সেই আর মুখে কথা নেই। এখানে “যেই আর “সেই শব্দের পিছনে উহ্য আছে ‘ক্ষণে । অন্যত্র “যেই বা “সেই শব্দের প্রয়োগে উহ্য থাকে মানুষ, যেমন : যেই আসুক সেই মার খাবে। যাই' শব্দের সঙ্গে উহ্য থাকে দুটি বিশেষণের দ্বন্দ্ব, যেমন : সে যাই বলুক। অর্থাৎ এটাই বলুক বা ওটাই বলুক, ভালোই বলুক বা মন্দই বলুক। আর-এক প্রকার প্রয়োগ আছে “যেই কথা সেই কাজ, অর্থাৎ কাজে কথায় প্রভেদ নেই- এখানে ই প্রত্যয় নিশ্চয়তা অর্থে ক্টোক দেবার জন্যে। “যে অসম্পূর্ণার্থক সর্বনাম বিশেষণ, মানবার্থে তার পূরণ হয় ‘ও’ এবং “সে দিয়ে। অন্য জীব বা বস্তুর সম্বন্ধে যখন তার প্রয়োগ হয় তখন সেই বস্তু বা জীবের নাম তার সঙ্গে জুড়তে হয়। যেমন : যে ফ্লািন কােল পােরশনেও সংক্রিয় যেন যে অংগসজ্জন কের গেলে কখনো কখনো বাক্যকে অসম্পূর্ণ রেখে “যে শব্দের ব্যবহার হয়, যেমন : যে তোমার বুদ্ধি। বাকিটুকু উহ্য আছে বলেই এর দংশনের জোর বেশি। বাংলা ভাষায় এইরকম খোচা-দেওয়া বঁকা खत्रिश्न उानां आनक पृष्ठ अद्धि शोंgग्रां शांत । মানুষ ছাড়া আর কিছুকে কিংবা সমূহকে বোঝাতে গেলে “যে ছেড়ে যা ধরতে হবে, যেমন ; যা নেই ভারতে (মহাভারতে) তা নেই। ভারতে । কিন্তু যারা শব্দ যা’ শব্দের বহুবচন নয়, “যে শব্দেরই বহুবচন, তাই ওর প্রয়োগ মানবার্থে। ‘তা বোঝায় অচেতনকে, কিন্তু তারা বোঝায় মানুষকে । “সে শব্দের বহুবচন “তারা । শব্দকে দুনো করে দেবার যে ব্যবহার বাংলায় আছে, ‘কে এবং “যে সর্বনাম শব্দে তার দৃষ্টাণ্ড দেখানো যাক ; কে কে এল, যে যে এসেছে। এর পূরণার্থে ‘সে সে লোক না বলে বলা হয় ‘তারা কিংবা ‘সেই সেই লোক” । “যেই যেই লোক এর ব্যবহার নেই। সম্বন্ধপদে যার যার” “তার তার মানবার্থে চলে। এইরকম দ্বৈতে বহুকে এক এক করে দেখবার ভাব আছে। ভিন্ন ভিন্ন তুমিকে নির্দেশ করে ‘তুমি তুমি “তোমার তোমার বললে দোষ ছিল না, কিন্তু বলা হয় না। যে বাক্যের প্রথম অংশে দ্বৈতে আছে “যে তার পূরণার্থক শেষ অংশে সমগ্রীবাচক বহুবচন-ব্যবহারটাই নিয়ম, যেমন : যে যে লোক, বা র্যারা যারা এসেছেন তাদের পান দিয়ে । যত এত তত আত কত শব্দ পরিমাণবাচক । এদের মধ্যে “তত’ শব্দ ছাড়া আর সবগুলিতে দ্বিত্ব be এখন তখন যখন কখন কালবাচক । ‘কখন শব্দ প্রায়ই প্ৰশ্নসূচক, সাধারণভাবে কখন বলতে অনিশ্চিত বা দূরবতী সময় বোঝায় ; কখন যে গেছে। কিন্তু কখনো প্রশ্নার্থক হয় না। প্রশ্নের ভাবে যখন বলি “সে কখনো এ কাজ করে তখন “কি অব্যয়শব্দ উহ্য থাকে । দ্বিত্বে কখনো শব্দের অর্থে “মাঝে মাঝে” । কখনোই একটা না চায় ; কখনোই হবে না । "কখন শব্দের কী খেনে -ভঙ্গিওয়ালা রূপ কাব্যসাহিত্যে পাওয়া যায়। ‘কছু শব্দের অর্থও কখনো’। এখন দৈবাৎ পদ্যে ছাড়া আর কোথাও কাজে লাগে না। ওর জুড়ি ছিল ‘তবু শব্দটা, কিন্তু ওর সময়বাচক অর্থটা নেই। ‘তবু শব্দের দ্বারা এমন কোনো সম্ভাবনা বোঝায় যেটা ঠিক উপযুক্ত বা আকাক্তিক্ষত নয় ; যদিও রৌদ্র প্রখর। তবু সে ছাতা মাথায় দেয় না, আমি তো বারণ করেছি। তবু যদি যায় দুঃখ পাবে। কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণে বহুবচন বা কর্মকারক নেই। সম্বন্ধপদে ; এখনকার তখনকার কখনকার, কোন সময়কার, কোন সময়টার। অধিকরণে : কোন সময়ে, যে সময়ে। পদ্যে 'কোন খান, গ্ৰাম্য ভাষায় কী খেনে এবং অধিকাংশ স্থলেই শুভ অশুভ লক্ষণ-সূচনায় এর প্রয়োগ হয়। অপাদান : যখন থেকে, কোন সময় থেকে। কালবাচক ক্রিয়াবিশেষণ আরো একটা বাকি আছে কবে । ওর দুটি জুড়ি ছিল ; এবে যবে । তারা