পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AO8 砷西哥5可冈* উদবোধিত করিয়া তুলুক-বিশ্বানি দুরিতানি পরাসূব- কোথাও কোনো কালিমা কিছুই রাখিয়ে না। তোমার স্বর্গের আলোক যেমন নিরবচ্ছিন্ন শুভ্ৰ আমার জীবনের ধরাতলকে তেমনি একটি অখণ্ড শুভ্রতায় একবার সম্পূর্ণ সমাবৃত করিয়া দাও।” অদ্যকার প্রভাতের এই অতলস্পর্শ শুভ্রতার মধ্যে আমি আমার অন্তরাত্মাকে অবগাহন করাইতেছি । বড়ো শীত, বড়ো কঠিন এই জান । নিজেকে যে একেবারে শিশুর মতো নগ্ন করিয়া দিতে হইবে, এবং ডুবিতে ডুবিতে একেবারে কিছুই যে বাকি থাকিবে না- উর্ধ্বে শুভ্ৰ, অধোতে শুভ্ৰ, সম্মুখে শুভ্ৰ, পশ্চাতে শুত্র, আরম্ভে শুভ্ৰ, অন্তে শুভ্ৰ- শিব এব। কেবলম- সমস্ত দেহ,মনকে শুভ্রের মধ্যে निष्टेभ्यः निर्दिष्टं कद्भिन्ना निश्च नभश्लान्न नभः निदाम्।। 5 निवऊद्राश 5 ।। বাৰ্থক্যের কান্তি যে কী মহৎ, কী গভীর সুন্দর, আমি তাহাঁই দেখিতেছি। যতী-কিছু বৈচিত্র্য সমস্ত ধীরে ধীরে নিঃশব্দে ঢাকা পড়িয়া গেল, অনবচ্ছিন্ন একের শুভ্ৰ সমস্তকেই আপনার আড়ালে টানিয়া লাইল । সমান্ত গান ঢাকা পড়িল, প্ৰাণ ঢাকা পড়িল, বৰ্ণাছটার লীলা সাদায় মিলাইয়া গেল। কিন্তু, এ তো মরণের ছায়া নয়। আমরা যাহাকে মরণ বলিয়া জানি সে যে কালো ; শূন্যতা তো আলোকের মতো সাদা নয়, সে যে অমাবস্যার মতো অন্ধকারময়। সূর্যের শুভ্র রশ্মি তাহার লাল নীল সমস্ত ছটাকে একেবারে আবৃত করিয়া ফেলিয়াছে ; কিন্তু, তাহাকে তো "বিনাশ করে নাই, তাহাকে পরিপূর্ণরূপে আত্মসাৎ করিয়াছে। আজ নিন্তব্ধতার অন্তনিগুঢ় সংগীত আমার চিত্তকে অন্তরে রসপূর্ণ করিয়া তুলিয়াছে। আজ গাছপালা তাহার সমস্ত আভরণ খসাইয়া ফেলিয়াছে, একটি পাতাও বাকি রাখে নাই ; সে তাহার প্রাণের সমস্ত প্রাচুর্যকে অন্তরের অদৃশ্য গভীরতার মধ্যে সম্পূর্ণ সমাহরণ করিয়া লইয়াছে। বনশ্ৰী যেন তাহার সমস্ত বাণী নিঃশেষ করিয়া দিয়া নিজের মনে কেবল ওঙ্কারমন্ত্রটি নীরবে: জপ করিতেছে। আমার মনে হইতেছে, যেন তাপসিনী গীেরী তাহার বসন্তপূম্পাভরণ ত্যাগ করিয়া শুভ্ৰবেশে শিবের শুভ্ৰমূর্তি ধ্যান করিতেছেন । যে কামনা আগুন লাগায়, যে কামনা বিচ্ছেদ ঘটায়, তাহাকে তিনি ক্ষয় করিয়া ফেলিতেছেন। সেই অগ্নিদগ্ধ কামনার সমন্ত কালিমা একটু একটু করিয়া ঐ তো বিলুপ্ত হইয়া যাইতেছে ; যতদূর দেখা যায় একেবারে সাদায় সাদা হইয়া গেল, শিবের সহিত মিলনে কোথাও আর বাধা রহিল না। এবার যে শুভপরিণয় আসন্ন, আকাশে সপ্তর্ষিমণ্ডলের পুণ্য-আলোকে যাহার বার্তা লিখিত আছে এই তপস্যার গভীরতার মধ্যে তাহার নিগৃঢ় আয়োজন চলিতেছে। উৎসবের সংগীত সেখানে ঘনীভূত হইতেছে, মালাবদলের ফুলের সাজি বিশ্বচক্ষুর আর্গোচরে সেখানে ভরিয়া ভরিয়া উঠিতেছে। এই তপস্যাকে বরণ করো, হে আমার চিত্ত, আপনাকে নত করিয়া নিন্তব্ধ করিয়া দাও- শুভ্ৰ শান্তি তোমাকে স্তরে স্তরে আবৃত করিয়া স্থিরপ্রতিষ্ঠ গৃঢ়তার মধ্যে তোমার সমস্ত চেষ্টাকে আহরণ করিয়া লাউক, নির্মলতার দেবদূত আসিয়া একবার এ জীবনের সমস্ত আবর্জনা এক প্রান্ত হইতে আর-এক প্রান্ত পর্যন্ত বিলুপ্ত করিয়া দিক। তাহার পরে এই তপস্যার ন্তব্ধ আবরণটি একদিন উঠিয়া যাইবে, একেবারে দিগদিগন্তর আনন্দকলগীতে পূর্ণ করিয়া দেখা দিবে। নুতন জাগরণ, নূতন প্ৰাণ, নূতন মিলনের মঙ্গলোৎসব। VNM VO