পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেবেলা ዓዩ98 মন-মরা হয়ে ভাবতুম, তার চেয়ে অনেক নীচের ধাপের মার্ক যদি মিলত তা হলে মেয়েদের সাজ নিয়ে ঠার খুদে দেওর-কবির অপছন্দ অমন করে উড়িয়ে দিতে র্তার বাধত । জ্যোতিদাদা ঘোড়ায় চড়তে ভালোবাসতেন । বউঠাকরুনকেও ঘোড়ায় চড়িয়ে চিৎপুরের রাস্তা দিয়ে ইডেন গার্ডেনে বেড়াতে যেতেন এমন ঘটনাও সেদিনা ঘটেছিল । শিলাইদহে আমাকে দিলেন এক টাটুঘোড়া । সে জন্তুটা কম দীেড়বাজ ছিল না। আমাকে পাঠিয়ে দিলেন রব্থতলার মাঠে ঘোড়া দৌড় করিয়ে আনতে ।” সেই এবড়ো-খেবড়ো মাঠে পড়ি-পড়ি করতে করতে ঘোড়া ছুটিয়ে আনতুম। আমি পড়ব না, তার মনে এই জোর ছিল বলেই আমি পড়ি নি। কিছুকাল পরে কলকাতার রাস্তাতেও আমাকে ঘোড়ায় চড়িয়েছিলেন। সেটাটু নয়, বেশ মেজাজি ঘোড়া । একদিন সে আমাকে পিঠে নিয়ে দেউড়ির ভিতর দিয়ে সোজা ছুটে গিয়েছিল উঠোনে যেখানে সে দানা খেত। পরদিন থেকে তার সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল । বন্দুক-ছোড়া জ্যোতিদাদা কান্ত করেছিলেন, সে কথা পূর্বেই জানিয়েছি। বাঘশিকারের ইচ্ছা ছিল তার মনে । বিশ্বনাথ শিকারী একদিন খবর দিল, শিলাইদহের জঙ্গলে বাঘ এসেছে। তখনই বন্দুক বাগিয়ে তিনি তৈরি হলেন । আশ্চর্যের কথা এই, আমাকেও নিলেন সঙ্গে । একটা মুশকিল কিছু ঘটতে পারে, ও যেন তার ভাবনার মধ্যেই ছিল না । ওস্তাদ শিকারী ছিল বটে বিশ্বনাথ । সে জানত, মাচনের উপর থেকে শিকার করাটা মারদের কাজ নয় । বাঘকে সামনে ডাক দিয়ে লাগাত গুলি । একবারও ফাঁসকায় নি। তার তাক ।* ঘন জঙ্গল । সেরকম জঙ্গলের ছায়াতে আলোতে বাঘ চোখেই পড়তে চায় না । একটা মোটা বাঁশগাছের গায়ে কঞ্চি কেটে কেটে মইয়ের মতো বানানো হয়েছে। জ্যোতিদাদা উঠলেন বন্দুক হাতে । আমার পায়ে জুতোও নেই, বাঘটা তাড়া করলে তাকে যে জুতো পেটা করব তারও উপায় ছিল না । বিশ্বনাথ ইশারা করলে । জ্যোতিদাদা অনেকক্ষণ দেখতেই পান না। তাকিয়ে তাকিয়ে শেষকালে ঝোপের মধ্যে বাঘের গায়ের একটা দাগ তার চশমাপরা চোখে পড়ল। মারলেন গুলি । দৈবাৎ লাগল সেটা তার শিরদাঁড়ায়। সে আর উঠত পারল না। কাঠাকুটাে যা সামনে পায় কামড়ে ধরে লেজ আছড়ে ভীষণ গৰ্জাতে লাগল। ভেরে দেখলে মনে সন্দেহ লাগে। অতক্ষণ ধরে বাঘটা মরবার জন্যে সবুর করে ছিল, সেটা ওদের মেজাজে নেই বলেই জানি । তাকে আগের রাত্রে তার খাবার সঙ্গে किकिन का आश्मि जाशाश नि (डा ! आठ घूम कन। আরো একবার বাঘ এসেছিল শিলাইদহের জঙ্গলে। আমরা দুই ভাই যাত্রা করলুম। তার খোজে, হাতির পিঠে চড়ে। আখের খেত থেকে পট পট করে আখ উপড়িয়ে চিবতে চিবতে পিঠে ভূমিকম্প লাগিয়ে চলল হাতি ভারিকি চালে । সামনে এসে পড়ল বন । ইটু দিয়ে চেপে, শুড় দিয়ে টেনে গাছগুলোকে পেড়ে ফেলতে লাগিল মাটিতে । তার আগেই বিশ্বনাথের ভাই চামরুর কাছে গল্প শুনেছিলুম, সর্বনেশে ব্যাপার হয় বাঘ যখন লাফ দিয়ে হাতির পিঠে চড়ে থাবা বসিয়ে ধরে। তখন হাতি গা গা শব্দে দুটতে থাকে। বনজঙ্গলের ভিতর দিয়ে, পিঠে যারা থাকে। ওঁড়ির ধাক্কায় তাদের হাত পা মাথার হিসেব পাওয়া যায় না । সেদিন, হাতির উপর চড়ে বসে শেষ পর্যন্ত মনের মধ্যে ছিল ঐ হাড়গোড়-ভাঙার ছবিটা। ভয় করাটা চেপে রাখলুম লজ্জায়। বেপরোয়া ভাব দেখিয়ে চাইতে লাগলুম এ দিকে, ও দিকে । যেন বাঘটাকে একবার দেখতে পেলে হয়। ঢুকে পড়ল। হাতি ঘন জঙ্গলের মধ্যে । এক জায়গায় এসে থমকে দাঁড়াল। মাহুত তাকে চেতিয়ে তোলাবার চেষ্টাও করল না । দুই শিকারী প্রাণীর মধ্যে বাঘের ‘পরেই তার বিশ্বাস ছিল বেশি। জ্যোতিদাদা বাঘটাকে ঘায়েল করে মরিয়া করে তুলবেন, নিশ্চয় এটাই ছিল তার সবচেয়ে ভাবনার কথা । হঠাৎ বাঘটা কোপের ভিতর থেকে দিল এক লাফ । যেন মেঘের ভিতর থেকে বেরিয়ে পড়ল একটা বজওয়ালা ঝড়ের ঝাপটা। আমাদের বিড়াল কুকুর শেয়াল-দেখা নজর- এ যে ঘাড়ে-গর্দানে একটা একরাশ মুরাদ, S LBD LLLBBBL LTYS DDB S D LBBBDSS KLB LLLLLL SO 8