পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Air রবীন্দ্র-রচনাবলী এই গানটি প্রথম দৃশ্যে “মাটি তোদের ডাক দিয়েছে” গানের (পৃ ১৭৩) অব্যবহিত পূর্বে ‘পুরুষ দলের গান রূপে ছিল। হৃদয়ে মন্দ্রিল; ডমরু শুরুগুরু, ইত্যাদি (RMN, P y es alk) দ্বিতীয় দৃশ্যের সর্বশেষে (পৃ ১৮১) ইহা ‘পুরুষদলের নৃত্য হিসাবে ব্যবহৃত হইয়াছিল। নৃত্যনাট্যটির প্রথম সংস্করণের শুরুতে চণ্ডালিকা মূল নাটকের ভূমিকাটি ও সমগ্ৰ নাট্যবিষয়ের রবীন্দ্রনাথ-কৃত একটি “পরিচয় সন্নিবেশিত হইয়াছিল। ভূমিকাটি রবীন্দ্র-রচনাবলীর ত্রয়োবিংশ খণ্ডে (পৃ ১৩৩) (সুলভ দ্বাদশ, পৃ ২১৩) একবার মুদ্রিত হইয়াছে বলিয়া বর্তমান খণ্ডে পুনরায় দেওয়া হইল না। “পরিচয় অংশটি নিজে আদ্যোপােন্ত মুদ্রিত হইল : পরিচয় (সমগ্ৰ চণ্ডালিকা নাটিকার গদ্য এবং পদ্য অংশে সুর দেওয়া হয়েছে। এই কারণে মনে রাখা দরকার এই নাটিকা দৃশ্য এবং শ্ৰাব্য, কিন্তু পাঠ্য নয় ।) se yra ফুল বিক্রি করতে চলেছে মেয়েরা । (গান) চণ্ডালকন্যা প্রকৃতি ফুল চাইতেই তার স্পর্শ বঁচিয়ে সবাই চলে গেল । দইওয়াল এল। সেও প্রকৃতিকে এড়িয়ে চলে গেল। চুড়িওয়ালা এল, সেও ঘূণা করে ওকে চুড়ি বেচল না। गावठाक निका कद्ध छिद्ध औऊ नृष्ठा । বীেন্ধভিক্ষুরা বুদ্ধস্তব গান করে গেল রান্তা দিয়ে। ঘরকল্পায় অবহেলা করছে বলে মা এসে প্রকৃতিকে ভৎসনা করলে । न्नि-माइनाग्न छत्र शिछ बएन अकृठि बिान्न नि ठान्न भाएक। প্রকৃতির জল-তোলার অভিনয় । বুদ্ধশিষ্য আনন্দ এসে জল চাইলেন। প্রকৃতি ক্ষমা চেয়ে বললে, “আমি চণ্ডালকন্যা, আমার কুয়োর জল অশুচি "ি, আনন্দ বললেন, “যে মানুষ আমি তুমিও সেই মানুষ। যে জল তৃষিতকে তৃপ্ত করে সেই জলই পবিত্ৰ তীৰ্থবারি।” প্রকৃতির হাতের জল খেয়ে তিনি চলে গেলেন। পুলকিত মনে প্রকৃতির নৃত্য। পাড়ার মেয়ে পুরুষরা ওকে ফসলকাটার কাজে ডাকতে এল। ভাবাবেগে নিমগ্ন প্রকৃতি তাদের ফিরিয়ে দিলে । (সকলের প্রস্থান) (13R erja) ौि । পুষ্প অর্ঘ্য নিয়ে পুরনারীরা বুজের মন্দিরে চলে গেল। প্রকৃতি গান গেয়ে বলছে, “ফুল মাটির কোলে ফুটেছে, দেবতা আসবেন সেই মাটির কাছেই আপন পূজা নিতে।” মা এসে বললে, “তুই ট্রেীদ্রে পুড়ে উমর মতো তপস্যা করছিস নাকি।” প্রকৃতি বললে, “আমি তারই জন্যে তপস্যা করছি যিনি আমাকে ডাক দিয়ে গেছেন, যিনি আমাকে নতুন জন্ম দিয়েছেন। আমি তাকেই চাই যিনি আমাকে দিয়েছেন সেবিকার সন্মান ।”