পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় রাজবাড়ির অনুচর এসে চণ্ডালিকাকে জানালে রানীর পোষা পাখি উড়ে গেছে, মন্ত্র পড়ে তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে, এই আদেশ । (sja) মত্রের কথা শুনে প্রকৃতি মাকে ধরে পড়ল, মাত্র পড়ে আনন্দকে তার কাছে আনিয়ে দিতে DK মা ভয় পেয়ে দ্বিধা করলে, বললে, “যদি আনিয়ে দিই। তবে তার মূল্য দিতে গিয়ে তোর কিছুই বাকি থাকবে না।” প্রকৃতি বললে, “আমার কিছুই বাকি থাকবে না জানি তবু আমি ভয় করি নে।” भों ब्रांकि इन । বুদ্ধের ন্তব্য পাঠ করতে করতে ভিক্ষুর দল পথ দিয়ে চলে গেল। প্রকৃতি দেখলে আগে আগে চলেছেন আনন্দ, কিন্তু তার দিকে ফিরে তাকালেন না, সেই খেদে সে আপনাকে ধিকার দিতে লাগল, আর মাকে বললে, তার মন্মে আরো জোর দিতে । আকর্ষণী নৃত্যে যোগ দেবার জন্যে মা আপনশিন্যাদের ডাক দিলে। তাদের প্রবেশ ও নৃত্য। প্রকৃতির হাতে মায়াদর্পণ দিয়ে মা বললে, এই দর্পণ হাতে নিয়ে নাচলে যাকে কামনা করছে। তার ছায়া দেখতে পাবে - তাণ্ডব নৃত্যে মা রুদ্রভৈরবের দলকে আহবান করলে। তাদের नृण । झुठौष्ट्र प्रथा মায়ের মািনত্য । আকাশে মেঘ ঘনিয়েছে দেখে প্রকৃতির আশা হল, মন্ত্ৰ খাটবে, সন্ন্যাসীর শুষ্ক সাধনা উড়ে যাৱে শুকনো পাতার মতন । মা বললে, “এইবার আয়নার সামনে নেচে দেখ তো কী ছায়া পড়ল।” প্রকৃতি আয়নায় দেখলে, আনন্দ আকাশে হাত তুলে থেকে থেকে কাকে যেন অভিশাপ দিচ্ছেন, নিজেকে কঠোরভাবে আঘাত করছেন। দেখে সে অনুতাপে অভিভূত হল। বললে, “আমার বুক ফেটে যাচ্ছে, এ দৰ্পণ আমি দেখব না।” মায়া যখন বললে, “তা হলে মন্ত্র ফিরিয়ে নেওয়াই ভালো” প্রকৃতি প্ৰথমে তাতে সম্মতি জুলাই ক’লে, ”ৰ তােৰ ৰ গড় আক্ৰ ধৰি দুখ দিয়ে উন্ন দুখ ষ্টেল " প্রকৃতি তার মাকে নাগপাশ মন্ত্র পড়তে বললে। (নাগপাশমন্ত্ৰ নৃত্য) (আহবান গানের সঙ্গে শিষ্যদের নৃত্য) (चानtयम्र शब्रां छडिनक्ष) অবশেষে আনন্দ পরাভূত হয়ে কাছে এসে উপস্থিত হলেন। তখন মহাপুরুষের এই অপমান প্রকৃতি সহ্য করতে পারলে না। বললে, “প্ৰভু, তুমি আমাকে উদ্ধার করতে এসেছি। আমি তোমাকে নীচে নামিয়ে এনেছি, তুমি আমাকে উপরে টেনে তুলবে বলে।” সকলোমিলে যুদ্ধের ভাষ্যমত্ন পাঠ ও প্ৰণাম সমিতি কলিকাতায় পুনরাভিনয়কালে প্রচারিত পুতিক হইতে নৃত্যনাট্যটির রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক নূতন