পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় AVA আজ আমার মন যে ঋতুকে আশ্রয় করে আছে, সে দক্ষিণ হওয়ার ঋতু, অন্তরের দিকে তার প্রবাহ, কিছুকালের জন্যে ফুল ফুটিয়ে ফুল ঝরিয়ে দেবে দৌড়। সেই মাতালটা বড়ো হাটের জন্যে ফসল ফলানাে কেয়ার করে না। কিছুদিন থেকে সমস্ত চণ্ডালিকাকে গনময় করে তুলতে ব্যন্ত আছি। খ্যাতির দিক থেকে এর দাম নেই বললেই হয়। প্রথমত বিদেশী হাট চালান করবার মাল এ নয়, দ্বিতীয়ত দেশের মাতবর লোকেরা এর বিশেষ খাতির করবেন বলে আশাই করি নে, যদি করেন তবে প্রভূত মুরুবিয়ানা মিশিয়ে করবেন। অথচ দিনরাত্রি এত পরিপূর্ণ হয়ে আছে আমার মন, যে, সমন্ত সামাজিক কর্তব্য তুচ্ছ বলে মনে হয়। অর্থাৎ আছি আমি অজন্তা-গুহায়- তার বাইরের সংসারটা সম্পূর্ণ মুলতুবি বিভাগে রয়ে গেছে। -eवानी। गदून ४७88,११s8 ;ौिद्धि &s, १, २०७ প্ৰতিমদেবী-কর্তৃক লিখিত ও রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক অনুমোদিত “চণ্ডালিক” প্ৰবন্ধটি নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা-র পরিপূর্ণ রাসগ্রহণের পক্ষে অপরিহার্য। ১৩৪৫ সালের আর্থিনের প্রবাসী হইতে উক্ত প্রবন্ধের কিয়দংশ নিজে মুদ্রিত হইল : চণ্ডালিকার ভূমিকা হল খাটি সাহিত্য ; একটি মানুষের মানসিক ক্রমবিকাশের পটভূমির উপর তার রচনা। মানুষের মধ্যে যা আদিম আকর্ষণ তারই আবেগ দিয়ে শুরু হয়েছে চণ্ডালিকার নৃত্যকলা। দেহের যে আকর্ষণী মাত্র যা শিবের তপস্যাকেও টলাতে পেরেছিল প্রকৃতি-পুরুষের অন্তরের সেই চিরন্তন ত্বৰ পীেছল চণ্ডালিকার প্রাণে, তারই আঘাতে দোল-খাওয়া মন নৃত্যসংগীতের তালে আপনাকে বিদূরিত করে দিল অবসাদ বিষাদ করুশার আতিশয্যে ।-- মূল আখ্যানের সঙ্গে এই নৃত্যনাটের আখ্যান অংশ কিছু তফাত হয়ে গেছে। নাটকীয় সংঘাতকে ফুটিয়ে তোেলবার জন্যে এবং রঙ্গমঞ্চের আঙ্গিককে উৎকর্ষ দেবার নিমিত্ত কবি এরূপ করতে বাধ্য হয়েছেন, যদিও সাহিত্যের দিক থেকে মনস্তাত্বিক পরিচালনায় কোনোরূপ পরিবর্তন হয় নি । প্রথম দৃশ্যে চণ্ডালিকা সাধারণ মেয়েদের দৈনন্দিন কাজের এবং পথের গতানুগতিক লোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। সেখানে তার সখী আছে, মা আছে, কৰ্ম আছে। সেই পথের জীবনের মধ্যে একদিন তার প্রাণে এসে পৌঁছল কোন প্রেমের ডাক, প্রথম সাড়া দিয়ে উঠল তার দেহ, তার কামনা, তার পর অসীম ছন্দের মধ্যে দিয়ে টানা-ছেড়ার অপরিমেয় অভিজ্ঞতার সাধনায় তার মন বিকশিত হল প্রেমের গভীর আনন্দে। মূল উপাখ্যানের মধ্যে যদিও আনন্দে স্বপ্রকাশ নয়, চণ্ডালিকার মুখের বাণী থেকেই তার দ্বন্থের আভাস পাওয়া যায়। কিন্তু নাটকীয় রসকে জমিয়ে তোলাবার জন্যে এবং চণ্ডলিকার দুরূহ মানসিক দ্বন্দ্ব থেকে দর্শকের চিত্তকে বিরাম দেবার জন্যে বীেন্ধ ভিক্ষু আনন্দের মনোজগতের দ্বন্ধকে ছায়ানুতো দেখানো হয়েছে। চণ্ডালিকার মায়াদর্পণে সন্ন্যাসীর যে অন্তৰ্যন্দ্ব দেখা দিয়েছিল তারই ছায়া জেগে উঠল। দর্শকের চোখে । আনন্দের যে দ্বন্ধ যে চণ্ডালিকার চেয়ে কিছু কম নয়। এক দিকে তার সুগভীর জ্ঞানের সাধনা, এক দিকে তার দেহের কামনা ; এই বস্তুজগতের আকর্ষণ জ্ঞানীকেও টেনে আনলে মাটির পৃথিবীতে, কিন্তু অবশেষে মানুষই জিতল। জীবধর্মের আদিমতাকে ছাপিয়ে উঠল তার আত্মার শক্তি, দিশহারা উন্মাদনায় বাধা পড়ল না। সে সংসারের মায়াজালে। চিরবৈরাগী পুরুষ, যার প্রেরণায় সে ছুটেছে উত্তর মেরুতে, উড়েছে আকাশ পথে, ডুবেছে অতল সমুদ্রে, সেই দুৰ্দাম শক্তির পুরুষাকার দেহের আকর্ষণ থেকে আনন্দকে পৌঁছে দিল পীেরুষের অসাধারণ গীেরবে।-- এই যে প্রকৃতি-পুরুষের স্বভাবের মধ্যে মূলগত বিরুদ্ধতা, চণ্ডলিকার সাহিত্য, ও নৃত্যনাট্য সেই মানসিক জটিলতাকে সুর ও তালের ছন্দে প্রকাশ করতে চেয়েছে। দেহের অনুপম ভঙ্গিমার মধ্য দিয়ে মনোজগতের ইতিকথাকে নয়নগোচর করে তোলাই ছিল চণ্ডলিকার আদর্শ। -ቑቐብ |ማifቅi »e8¢,ፃ ፃፃè-ፄ চণ্ডালিকার মূল আখ্যান প্রসঙ্গে রবীন্দ্র-রচনাবলী ত্রয়োবিংশ খণ্ডের গ্রন্থপরিচয় ( esi-ese) ("Es VMF, o ayo-yo) ako i