পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>や রবীন্দ্র রচনাবলী এই-কটা তার শব্দমাত্র দৈবে রইল বাকি, আগুন-নেভা ছাইয়ের মতন ফাকি । সেই মরা দিন কোন খবরের টানে পড়ল এসে সজীব বর্তমানে । তপ্ত হাওয়ার বাজপাখি আজ বারে বারে ছো মেরে যায় ছড়াটারে, এলোমেলো ভাবনাগুলোর ফাকে ফাকে টুকরো করে ওড়ায় ধ্বনিটাকে । জাগা মনের কোন কুয়াশা স্বপ্নেতে যায় ব্যেপে, ধোয়াটে এক কম্বলেতে ঘুমকে ধরে চেপে, রক্তে নাচে ছড়ার ছন্দে মিলে— “ঢাকিরা ঢাক বাজায় খালে বিলে । ” জমিদারের বুড়ে হাতি হেলে ছলে চলেছে বঁাশতলায়, ঢঙ ঢঙিয়ে ঘণ্টা দোলে গলায় । বিকেলবেলার চিকন অালোর অভিাস লেগে ঘোলা রঙের আলস ভেঙে উঠি জেগে । হঠাৎ দেখি, বুকে বাজে টনটনানি পাজরগুলোর তলায় তলায় ব্যথা হানি । চটক ভাঙে যেন খোচা খেয়ে— কই আমাদের পাড়ার কালো মেয়ে— ঝুড়ি ভরে মুড়ি আনত, আtলত পাকা জাম, সামান্ত তার দাম, ঘরের গাছের আমি আনত কাচামিঠ1, অগনির স্থলে দিতেম তাকে চার-আনিটা । ঐ যে অন্ধ কলুবুড়ির কান্না শুনি— কদিন হল জানি নে কোন গোয়ার খুনি সমখ তার নাতনিটিকে কেড়ে নিয়ে ভেগেছে কোন দিকে ।