পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ֆ Ֆե রবীন্দ্র-রচনাবলী মাটির পাত্রটা নিয়ে বঞ্চিত সে অমৃতের স্বাদে, ডুবায় সে ক্লাভি-অবসাদে সোনার প্রদীপ শিখা-নেভা । দূর হতে অধরাকে পায় যে ৰ৷ চরিতার্থ করে সে’ই কাছের পাওয়ারে, পুর্ণ করে তারে । নারীস্তব শুনালেম । ছিল মনে আশা— উচ্চতত্ত্বে-ভরা এই ভাষা উৎসাহিত করে দেবে মন ললিতার, পাব পুরস্কার । হায় রে, দুগ্রহগুণে কাব্য শুনে ঝকঝকে হাসিখানি হেসে কহিল সে, “তোমার এ কবিত্বের শেষে বসিয়েছ মহোল্পত যে-কটা লাইন আগাগোড়া সত্যহীন । ওরা সব-কটা বানানো কথার ঘটা, সদরেতে যত বড়ো আন্দরেতে ততখানি ফাকি । জানি না কি— দূর হতে নিরামিষ সাত্ত্বিক মৃগয়া, নাই পুরুষের হাড়ে অমায়িক বিশুদ্ধ এ দয়া ।” আমি শুধালেম, “আর, তোমাদের ?” সে কহিল, “আমাদের চারিদিকে শক্ত আছে ঘের পরশ-বাচানো, সে তুমি নিশ্চিত জান ।” আমি শুধালেম, “তার মানে ?” সে কছিল, “আমরা পুৰি না মোহ প্রাণে,