পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৬ রবীন্দ্র-রচনাবলী কোন বিচারক বিচার করবে যে, মূল্য আছে সেই পুথিগুলোর । তবু এরই মধ্যে দেখা গেল, শস্ত খাজনা চলে এমন দাবিও আছে ঐ উচ্চাসনার— সেখানে ওর পিড়ে পাতা মাটির কাছে । ও ভালোবাসে কাচা আমি খেতে শুল্লো শাক অার লঙ্কা দিয়ে মিশিয়ে । প্রসাদলাভের একটি ছোট দরজ। খোলা আছে আমার মতো ছেলে আর ছেলেমাহুষের জন্তে ও । গাছে চড়তে ছিল কড়া নিষেধ । হাওয়া দিলেই ছুটে ষেভূম বাগানে, দৈবে যদি পাওয়া যেত একটিমাত্র ফল একটুখানি দুর্লভতার আড়াল থেকে, দেখতুম, সে কী শুiমল, কী নিটোল, কী স্বন্দর, প্রকৃতির সে কী আশ্চর্য দান । যে লোভী চিরে চিরে ওকে খায় সে দেখতে পায় নি ওর অপরূপ রূপ । একদিন শিলবৃষ্টির মধ্যে আমি কুড়িয়ে এলেছিলুম ; ও বলল, “কে বলেছে তোমাকে আনতে ।” আমি বললুম, “কেউ না ।” ঝুক্তিস্থদ্ধ মাটিতে ফেলে চলে গেলুম। আর-একদিন মৌমাছিতে আমাকে দিলে কামড়ে ; সে বললে, “এমন ক’রে ফল আনতে হবে না।” চুপ করে রইলুম। বয়স বেড়ে গেল । একদিন সোনার আংটি পেয়েছিলুম ওর কাছ থেকে ;