পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুমিকা রাজেন্দ্রলাল মিত্র কতৃক সম্পাদিত নেপালী বৌদ্ধ সাহিত্যে শাদূলকৰ্ণাবদানের যে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তাই থেকে এই নাটিকার গল্পটি গৃহীত । গল্পের ঘটনাস্থল শ্রাবস্তী। প্রভু বুদ্ধ তখন অনাথপিণ্ডদের উদ্যানে প্রবাস যাপন করছেন । র্তার প্রিয় শিষ্য আনন্দ একদিন এক গৃহস্থের বাড়িতে আহার শেষ করে বিহারে ফেরবার সময় তৃষ্ণ বোধ করলেন । দেখতে পেলেন, এক চণ্ডালের কন্যা, নাম প্রকৃতি, কুয়ো থেকে জল তুলছে । তার কাছ থেকে জল চাইলেন, সে দিল । র্তার রূপ দেখে মেয়েটি মুগ্ধ হল । র্তাকে পাবার অন্য কোনো উপায় না দেখে মায়ের কাছে সাহায্য চাইলে । ম। তার জাতুবিদ্যা জানত। মা আঙিনায় গোবর লেপে একটি বেদী প্রস্তুত করে সেখানে আগুন জ্বালল এবং মস্ত্রোচ্চারণ করতে করতে একে একে ১০৮টি অর্কফুল সেই আগুনে ফেললে । আনন্দ এই জাদুর শক্তি রোধ করতে পারলেন না। রাত্রে তার বাড়িতে এসে উপস্থিত । তিনি বেদীর উপর আসন গ্রহণ করলে প্রকৃতি র্তার জন্ত বিছানা পাততে লাগল । আনন্দের মনে তখন পরিতাপ উপস্থিত হল । পরিত্রাণের জন্তে ভগবানের কাছে প্রার্থন জানিয়ে কাদতে লাগলেন । ভগবান বুদ্ধ তার অলৌকিক শক্তিতে শিষ্যের অবস্থা জেনে একটি বৌদ্ধমন্ত্র আবৃত্তি করলেন । সেই মন্ত্রের জোরে চণ্ডালীর বশীকরণবিদ্যা তুর্বল হয়ে গেল এবং আনন্দ মঠে ফিরে এলেন ।