পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী তারি হাতে চিরদিন যৎপরোনাস্তি পেয়েছি পুরস্কার, পেয়েছিও শাস্তি । প্রমাণ গিয়েছি রেখে, এ-কালিনী রমণীর রমণীয় তালে বাধা ছন্দ এ ধমনীর । কাছে পাই হারাই-বা তৰু তারি স্মৃতিতে ভ জাগে অাজে মোর গীতিতে । মনোলোকে দূতী ষার মাধুরীনিকুঞ্জে গুঞ্জন করিয়াছি তাহাঙ্গেরি গুণ যে । সেকালে ও কালিদাস-বররুচি-অাদিরা পুরস্কন্দরীদের প্রশস্তিবাদীরা যাদের মহিমাগানে জাগালেন বীণারে তারা ও সবাই ছিল অধুনার কিনারে । আধুনিক ছিল নাকো হেন কাল ছিল না, তাহণদেরি কল্যাণে কাব্যাকুশীলন । পুরুষ কবির ভালে আছে কোনো স্বগ্ৰহ, চিরকাল তাই তারে এত মহাস্থগ্রহ । জুতা-পায়ে খালি-পায়ে স্লিপারে বা নূপুরে নবীনারা যুগে যুগে এল দিনে দুপুরে, ষেথা স্বপনের পাড়া সেখা যায় অগিয়ে, প্রাণটাকে নাড়া দিয়ে গান যায় জাগিয়ে । তবু কবি-রচনায় যদি কোনো পলল। দেখ অকৃতজ্ঞতা, জেনে সেট। ছলনা । মিঠে আর কটু মিলে, মিছে আর সত্যি, ঠোকাঠুকি ক’রে হয় রস-উৎপত্তি । মিষ্ট-কটুর মাঝে কোনটা যে মিথ্যে সে কথাটা চাপা থাকু কবির সাহিত্যে । ঐ দেখো, ওটা বুঝি হল শ্লেষবাক্য । এরকম বাক কথা ঢাকা দিয়ে রাথ্য । প্রলোভনরূপে জালে পরিহাসপটুতা, সামলানো নাহি যায় অকণরণ কটুত ।