পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У & о রবীন্দ্র-রচনাবলী কেটে । আর সময় নেই, সময় নেই, মা, এ রাত ব্যর্থ করিস নে । তোর সব জোরটা দে ঐ মস্ত্রে । মা। আর পারছি নে, বাছা । মন্ত্র দুর্বল হয়ে এল, আমার প্রাণ ও শরীর এসেছে स्वं इष्ट्झ । প্রকৃতি । দুর্বল হলে চলবে না। দিল নে হাল ছেড়ে । ফেরবার দিকে মুখ ফিরিয়েছেন বা, বাধনে শেষ টান পড়েছে— হয়তো টিকবে না। হয়তো বেরিয়ে যাবে ন · আমার এ জন্মের সংসার থেকে, আর পাব না নাগাল কিছুতেই। তখন আমারই স্বপ্নের পালা, আবার চণ্ডালিনীর মায়ামূতি। পারব না সইতে সেই মিথ্যে। পায়ে পড়ি, মা, দে একবার তোর সমস্ত শক্তি। এবার শুরু কর তোর বসুন্ধরামন্ত্র, টলতে থাক পুণ্যবানদের তুষিত স্বৰ্গলোক । গান আমি তোমারি মাটির কন্যা, জননী বসুন্ধরা । তবে আমার মানবজন্ম কেন বঞ্চিত করা । পবিত্র জানি যে তুমি পবিত্র জন্মভূমি— মানবকল্প আমি যে ধষ্ঠা প্রাণের পুণ্যে ভর । কোন স্বর্গের তরে ওরা তোমায় তুচ্ছ করে, রহি তোমার বক্ষ-’পরে । আমি যে তোমারি অাছি নিতান্ত কাছাকাছি— তোমার মোহিনীশক্তি দাও আমারে झलिश्ब्र4वi१-छ्व ॥ মা । যেমন বলেছিলেম তেমনি প্রস্তুত হয়েছ তো ? প্রকৃতি । হয়েছি! কাল ছিল শুক্লাদ্বিতীয়ার রাত, করেছি গভীরায় অবগাহনস্নান। এই তো চাল দিয়ে, দাড়িমের ফুল দিয়ে, সিন্ধর দিয়ে, সাতটি রত্ন দিয়ে, চক্র