পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চণ্ডালিকা \&5 একেছি আঙিনায় । পুতেছি হলদে কাপড়ের ধ্বজাগুলি, থালায় রেখেছি মালাচন্দন, জালিয়েছি বাতি। স্বানের পর কাপড় পরেছি ধানের অস্কুরের রঙ, চাপার রঙের ওড়না । পুবদিকে আসন করে সমস্ত রাত ধ্যান করেছি তার মূর্তি। ষোলোটি সোনালি স্বতোয় ষোলোটি গ্রস্থি দিয়ে রাখী পরেছি বঁ হাতে । মা। আচ্ছা, তবে নাচে তোমার সেই আহবানের নাচ—প্রদক্ষিণ করো। আমি বেদীর কাছে মন্ত্র পড়ছি । -- প্রকৃতি । १ोंtन মম রুদ্ধ মুকুলদলে এসো সৌরভ-অমৃতে । মম আখ্যাত তিমিরতলে এসো গৌরবনিশীথে । अिहे भूलाइब्रा भय उखि, এসে মুক্তাকণায় তুমি মুক্তি। মম মৌনী বীণার তারে তারে এসো সংগীতে । নব-অরুণের এসো আহবান— চিররজনীর হোক অবসান, এসো। এসো শুভস্মিত শুকতারায়, এসো শিশির-অশ্রীধারায়, সিন্দুর পরাও উষারে তব রশ্মিতে ॥ ম। প্রকৃতি, এইবার তোমার আয়নাটা নিয়ে দেখো । দেখছ—কালো ছায়া পড়েছে বেদীটার উপরে ? আমার বুক ভেঙে যাচ্ছে, পারছি নে । দেখো আয়নাটা— আর কত দেরি । প্রকৃতি। না, দেখব না, দেখব না, আমি শুনব মনের মধ্যে—ধ্যানের মধ্যে । হঠাৎ সামনে দেখব যদি দেখা দেন। আর-একটু সয়ে থাকে, মা— দেবেন দেখা, নিশ্চয় দেবেন। ঐ দেখো, হঠাৎ এল বড়, আগমনীর ঝড়, পদভরে পৃথিবী কাপছে থরঘরিয়ে, বুক উঠছে গুরুগুর করে। মা। আনছে তোর অভিশাপ হতভাগিনী। আমাকে তো মেরে ফেললে! ছিড়ল বুঝি শিরাগুলো।