পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰহাসিনী বারে বারে এইমতো করি অত্যুক্তি ক্ষমা করে কোরো সেই অপরাধমুক্তি । আর যা-ই বলি নাকে এ কথাটা বলিবই, তোমাদের দ্বারে মোরা ভিক্ষার থলি বই । অন্ন ভরিয়া দাও স্বধ। তাহে লুকিয়ে, মূল্য তাহারি আমি কিছু যাই চুকিয়ে । অনেক গেয়েছি গান মুগ্ধ এ প্রোণ দিয়ে— তোমরা তো শুনেছ তা, অন্তত কান দিয়ে । পুরুষ পরুষ ভাষে করে সমালোচনা, সে অকালে তোমাদেরি বাণী হয় রোচন । করুণায় ব’লে থাক, “আtহ1, মন্দ বা কী ।” খুটে বের কর না তো কোনো ছন্দ-ফাকি । এইটুকু বা মিলেছে তাই পায় কজন, এত লোক করেছে তো ভারতীর ভজনা । এর পর বাশি যবে ফেলে যাব ধূলিতে তখন আমারে ভুলো পায় যদি ভুলিতে । সেদিন নুতন কৰি দক্ষিণপবনে মধু ঋতু মুখরিৰে তোমাজের স্তবনে— তখন আমার কোনো কীটে-কাটা পাতাতে একটা লাইনও যদি পারে মন মাতাতে তাহলে হঠাৎ বুক উঠিবে যে কাপিয়া বৈতরণীতে ধবে ৰাব খেয়া চাপিয়া । এ কী গেরো । কাজ কী এ কল্পনাবিহারে, সেটিমেন্টালিটি বলে লোকে ইহারে । ম'রে তবু বাচিবার আবদার খোকামি, সংসারে এর চেয়ে নেই ঘোর বোকামি । এটা তো আtধুনিকার সহিবে না কিছুতেই ; এসটিমেশনে তার পড়ে যাৰ নিচুতেই ।