পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>brb" রবীন্দ্র-রচনাবলী দহলানী । আমারও ইচ্ছে করে, কিন্তু ভয় ও করে । শুনেছি মানুষের দুঃখ ঢের, তাসের কোনো বালাই নেই । ইস্কাবনী। দুঃখের কথা বলছিল, ভাই ? দুঃখ যে এখনি শুরু করেছে তার নৃত্য বুকের মধ্যে । টেকানী । কিন্তু, সেই দুঃখের নেশা ছাড়তে চাই নে। থেকে থেকে চোখ জলে ভেসে যায়, কেন যে ভেবেই পাই নে । গান কেন নয়ন আপনি ভেসে যায়, মন কেন এমন করে— ষেন সহসা কী কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে না গো, তবু মনে পড়ে। যেন কাহার বচন দিয়েছে বেদন, যেন কে চলে গিয়েছে অনাদরে— বাজে তারি অষতন প্রাণের পরে । যেন সহসা কী কথা মনে পড়ে, মনে পড়ে না গো, তবু মনে পড়ে ॥ ইস্কাবনী। পালাও পালাও, সম্পাদক আসছে। কাগজে যদি রটে যায় তাহলে মুখ দেখাতে পারব না । দহলানী। ঐ-যে দলবল সবাই আসছে । বুড়োনিমতলায় আজ সভা বসবে। এখানে আর নয় । ha, [ প্রস্থান রাজাসাহেব প্রভূতির প্রবেশ । রাজা । এ জায়গাট। কেমন ঠেকছে। ওটা কিসের গন্ধ । পঞ্জা । কদম্বের । রাজা। কদম্ব ! অদ্ভূত নাম । ওটা কী পাখি ডাকছে। পঞ্জা। শুনেছি, ওকে বলে ঘুঘু । রাজা । ঘুঘু ! তাসের ভাষায় ওকে একটা ভদ্র নাম দাও, বলে বিনতি – আজ তো কাজ করা দায় হয়েছে । আজ আকাশে কথা শোনা যাচ্চে, বাতাসে কুর উঠেছে । অনেক কষ্টে মনকে শাস্ত রেখেছি। রানীবিবিকে তো ঘরে রাখা শক্ত হল, নেচে