পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ ఫిలిపి বড়োবাবুরা সম্পূর্ণ নিশ্চেষ্টভাবে বংশগৌরব রক্ষা করিয়াছে। এমন বিপরীত ব্যাপার তো কোনোদিন ঘটে নাই। আজ এই পরিবারের বড়োবাবুর পদের অবনতি ঘটাতে বড়োবউয়ের সন্মানে আঘাত লাগিল । ইহাতে এতদিন পরে আজ স্বামীর প্রতি কিরণের যথার্থ অশ্রদ্ধার কারণ ঘটিল। এতদিন পরে তাহার বসন্তকালের লটুকানে রঙের শাড়ি এবং খোপার বেলফুলের মালা লজ্জায় মান হইয়া গেল। । কিরণের বয়স হইয়াছে অথচ সন্তান হয় নাই। এই নীলকণ্ঠই একদিন কর্তার মত করাইয়া পাত্রী দেখিয়া বনোয়ারির অর-একটি বিবাহ প্রায় পাকাপাকি স্থির করিয়াছিল । বনোয়ারি হালদারবংশের বড়ো ছেলে, সকল কথায় আগে এ কথা তো মনে রাপিতে হইবে । সে অপুত্রক থাকিবে, ইহা তো হইতেই পারে না । এই ব্যাপারে কিরণের বুক দুরূদুর করিয়া কঁাপিয়া উঠিয়াছিল। কিন্তু, ইহা সে মনে মনে না স্বীকার করিয়া থাকিতে পারে নাই যে, কথাটা সংগত। তখনো সে নীলকণ্ঠের উপরে কিছুমাত্র রাগ করে নাই, সে নিজের ভাগ্যকেই দোষ দিয়াছে। তাহার স্বামী যদি নীলকণ্ঠকে BBBS BBBB B BBB BBB BBDDDD DBBLL BB BBB BB BB BBBB না করিত তবে কিরণ সেটাকে অন্যায় মনে করিত না । এমন-কি, বনোয়ারি যে তাহার বংশের কথা ভাবিল না, ইহাতে অতি গোপনে কিরণের মনে বনোয়ারির পৌরুষের প্রতি একটু অশ্রদ্ধাই হইয়াছিল। বড়ো ঘরের দাবি কি সামান্ত দাবি । তাহার যে নিষ্ঠুর হুইবার অধিকার আছে । তাহার কাছে কোনো তরুণী স্ত্রীর কিম্বা কোনো দুঃখী কৈবর্তের স্বথদুঃখের কতটুকুই বা মূল্য । সাধারণত যাহা ঘটিয়া থাকে এক-একবার তাহা না ঘটিলে কেহই তাহ। ক্ষমা করিতে পারে না, এ কথা বনোয়ারি কিছুতেই বুঝিতে পারিল না। সম্পূর্ণরূপে এ বাড়ির বড়োবাবু হওয়াই তাহার উচিত ছিল ; অন্য কোনো প্রকারের উচিত-অনুচিত চিন্তা করিয়া এখানকার ধারাবাহিকভ নষ্ট করা যে তাহার আকর্তব্য, তাহা সে ছাড়া সকলেরই কাছে অত্যন্ত স্ব স্পষ্ট । এ লইয়া কিরণ তাহার দেবরের কাছে কত দুঃখই করিয়াছে । বংশী বুদ্ধিমান ; তাছার খাওয়া হজম হয় না এবং একটু হাওয়া লাগিলেই সে হাচিয়া কাশিয়া অস্থির হইয় উঠে, কিন্তু সে স্থির ধীর বিচক্ষণ । সে তাহার আইমের বইয়ের ষে অধ্যায়টি পড়িতেছিল সেইটেকে টেবিলের উপর খোলা অবস্থায় উপুড় করিয়া রাখিয়া কিরণকে বলিল, “এ পাগলামি ছাড়া আর কিছুই নহে ।” কিরণ অত্যন্ত উদবেগের সহিত মাথা নাড়িয়া কহিল, "জান তো, ঠাকুরপো ? তোমার দাদা যখন ভালো আছেন তখন বেশ