পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ २२€ দুটি আর মেলে না। ওদিকে সামনে একটা অকাল চার-পাচটা মাস জুড়িয় আমার আইবড় বয়সের সীমানাটাকে উনিশ বছর হইতে অনর্থক ৰিশ বছরের দিকে ঠেলিয়া দিবার চক্রাস্ত করিতেছে । শ্বশুরের এবং তঁtহার মনিবের উপর রাগ হইতে লাগিল । যা হউক, অকালের ঠিক পূর্বলগ্নটাতে আলিয়া বিবাহের দিন ঠেকিল। সেদিনকার শানাইয়ের প্রত্যেক তানটি যে আমার মনে পড়িতেছে। সেদিনকার প্রত্যেক মূহূর্তটিকে আমি আমার সমস্ত চৈতন্য দিয়া স্পর্শ করিয়াছি । আমার সেই উনিশ বছরের বয়সটি আমার জীবনে অক্ষয় হইয়া থাক । বিবাহসভায় চারি দিকে হট্টগোপ ; তাহারই মাঝখানে কন্যার কোমল হাতখনি আমার হাতের উপর পড়িল । এমন আশ্চর্য আর কী আছে । আমার মন বারবার করিয়৷ বলিতে লাগিল, “আমি পাই লাম, আমি ইহাকে পাইলাম। কাহাকে পাইলাম । এ ষে দুর্লভ, এ যে মানবী, ইহার রহস্তের কি অস্ত আছে । আমার শ্বশুরের নাম গৌরীশংকর। যে হিমালয়ে বাস করিতেন সেই হিমালয়ের তিনি যেন মিত। র্তাহার গাম্ভীর্ষের শিখরদেশে একটি স্থির হস্ত শুভ্ৰ হুইয়া ছিল । আর, তাহার হৃদয়ের ভিতরটিতে স্নেহের যে একটি প্রস্রবণ ছিল তাহার সন্ধান যাহার জানিত তাহারা তাহাকে ছাড়িতে চাহিত না । কর্মক্ষেত্রে ফিরিবার পূর্বে আমার শ্বশুর আমাকে ডাকিয়া বলিলেন, “বাবা, আমার মেয়েটিকে আমি সতেরো বছর ধরিয়া জানি, আর তোমাকে এই ক'টি দিন মাত্র জানিলাম, তবু তোমার হাতেই ও রহিল। ষে ধন দিলাম তাহার মূল্য যেন বুঝিতে পার, ইহার বেশি আশীৰ্বাদ আর নাই ।” র্তাহার বেহাই বেহান সকলেই তাহাকে বারবার করিয়া আশ্বাস দিয়া বলিলেন, “বেহাই, মনে কোনো চিন্তা রাখিয়ে না। তোমার মেয়েটি যেমন বাপকে ছাড়িয়৷ আসিয়াছে, এখানে তেমনি বাপ মা উভয়কেই পাইল ।” তাহার পরে শ্বশুরমশায় মেয়ের কাছে বিদায় লইবার বেলা হাগিলেন ; বলিলেন, “বুড়ি চলিলাম। তোর একখানি মাত্র এই বাপ, আজ হইতে ইহার যদি কিছু খোওয়া याम्न वा झुबि बाध्र वा नष्ट इग्न चाथि डाशब्र बच्न नाम्रो नहे ।” মেয়ে বলিল, “তাই বই-কি । কোথাও একটু যদি লোকসান হয় তোমাকে তার ক্ষতিপূরণ করিতে হইৰে ।” অবশেষে নিত্য র্তাহার যে-সব বিষয়ে বিভ্ৰাট ঘটে যাপকে সে-সম্বন্ধে সে বারবার সতর্ক করিয়া দিল । আহারসম্বন্ধে আমার শ্বশুরের যথেষ্ট সংযম ছিল না ; গুটিকয়েক