পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sఆఆ রবীন্দ্র-রচনাবলী না পড়িয়াছে তারা বুঝিতেই পারিবে না। তার উপরে প্রসন্ন পৃথিবীটাকে খুব করিয়া চিনিয়া আসিয়াছে ; উহার কথার দাম আছে । o সে বলিল, “কাজ বোঝে এমন লোক আমি ঢের দেখিয়াছি, দাদা— কিন্তু তারাই সব চেয়ে পড়ে বিপদে। তারা বুদ্ধির জোরেই কিস্তি মাত করিতে চায়, ভুলিয়া যায় যে মাথার উপরে ধর্ম আছেন । কিন্তু তোমাতে যে মণিকাঞ্চনযোগ । ধর্মকেও শক্ত করিয়া ধরিয়াছ, আবার কর্মের বুদ্ধিতেও তুমি পাকা ।” তখন ব্যাবসা-থ্যাপা কালটাও পড়িয়াছিল। সকলেই স্থির করিয়াছিল, বাণিজ্য ছাড়া দেশের মুক্তি নাই ; এবং ইহাও নিশ্চিত বুঝিয়াছিল যে, কেবলমাত্র মূলধনটার জোগাড় হইলেই উকিল, মোক্তার, ডাক্তার, শিক্ষক, ছাত্র এবং ছাত্রদের বাপ-দাদী সকলেই এক দিনেই সকল প্রকার ব্যাবসা পুরাদমে চালাইতে পারে। আমি প্রসন্নকে বলিলাম, "আমার সম্বল নাই যে ।” সে বলিল, “বিলক্ষণ ! তোমার পৈতৃক সম্পত্তির অভাব কী ।” তখন হঠাৎ মনে হইল, প্রসন্ন তবে বুঝি এতদিন ধরিয়া আমার সঙ্গে একটা লম্বা ঠাটা করিয়া আসিতেছে । প্রসন্ন কহিল, “ঠাট্টা নয়, দাদা। সততাই তো লক্ষ্মীর সোনার পদ্ম। লোকের বিশ্বাসের উপরই কারবার চলে, টাকায় নয় । * পিতার আমল হইতেই আমাদের বাড়িতে পাড়ার কোনো কোনো বিধবা মেয়ে টাকা গচ্ছিত রাথিত। তারা স্বদের আশা করিত না, কেবল এই বলিয়া নিশ্চিস্ত ছিল যে, মেয়েমানুষের সর্বত্রই ঠকিবার আশঙ্কা আছে, কেবল আমাদের ঘরেই নাই । সেই গচ্ছিত টাকা লইয়া স্বদেশী এজেন্সি খুলিলাম। কাপড়, কাগজ, কালি, বোতাম, সাবান, যতই আনাই, বিক্রি হইয়া যায়— একেবারে পঙ্গপালের মতো খরিদার আসিতে লাগিল । ७कüी कथा श्रां८छ्- विश्व बडहे दां८फ़ उडहे छांना बांग्र ८ष, किडूहे खांनि न । টাকারও সেই দশা । টাকা যতই বাড়ে ততই মনে হয়, টাকা নাই বলিলেই হয় । আমার মনের সেইরকম অবস্থায় প্রসন্ন বলিল— ঠিক যে বলিল তাহা নয়, আমাকে দিয়া বলাইয়া লইল যে, খুচরা-দোকানদারির কাজে জীবন দেওয়াটা জীবনের বাজে খরচ। পৃথিবী জুড়িয়া যে সব ব্যাবসা সেই তো ব্যাবস। দেশের ভিতরেই যে টাকা খাটে সে টাকা ঘানির বলদের মতো অগ্রসর হয় না, কেবল ঘুরিয়া মরে। প্রসন্ন এমনি ভক্তিতে গদগদ হইয়া উঠিল যেন এমন নূতন অথচ গভীর জ্ঞানের কথা সে জীবনে আর কখনো শোনে নাই । তার পরে আমি তাৰে ভারতবর্ষের তিসির