পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ &ዓ>

  • তা জানি । তোমাকে এক লাইন লিখে দিতে হবে, মালি, যে, কোনো ভাবনার কথা নেই— আমি গেলে বিশেষ কোনো—”

“তুমি গেলে কোনো ক্ষতিই নেই সে কি জানি নে । কিন্তু তোমার বাপকে যদি লিখতেই হয়, আমার মনে যা আছে সব খুলেই লিখব ।”

  • আচ্ছ, বেশ– তুমি লিখে না। আমি ওঁকে গিয়ে বললেই উনি—” *দেখে, বউ, অনেক লয়েছি— কিন্তু এই নিয়ে যদি তুমি যতীনের কাছে যাও, কিছুতেই সইব না। তোমার বাব। তোমাকে ভালোরকমই চেনেন, তাকে ভোলাতে

পারবে না ।” এই বলিয়। মাসি চলিয়া আসিলেন। মণি খানিকক্ষণের জন্ত রাগ করিয়া বিছানার উপর পড়িয়া রছিল । পাশের বাড়ি হইতে সই আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “এ কি সই, গোসা কেন।”

  • দেখো দেখি ভাই, আমার একমাত্র বোনের অন্নপ্রাশন— এরা আমাকে ষেতে দিতে চায় না।”
  • ওমা, সে কী কথা, যাবে কোথায় । স্বামী যে রোগে শুষছে।”

“আমি তো কিছুই করি নে, করতে পারি ও নে ; বাড়িতে সবাই চুপ চাপ, আমার প্রাণ ইপিয়ে ওঠে । এমন ক’রে আমি থাকতে পারি নে, তা বলছি ।” “डूमि शछि cयरबयाश्व या ८शरु।"

  • তা আমি, ভাই, তোমাদের মতো লোক-দেখানে ভান করতে পারি নে। পাছে কেউ কিছু মনে করে বলে মুখ গুজড়ে ঘরের কোণে পড়ে থাকা আমার কর্ম নয়।”

“ত, কী করবে শুনি ।” “আমি যাবই, আমাকে কেউ ধরে রাখতে পারবে না।” “ইস, তেজ দেখে আর বাচি নে। চললুম, আমার কাজ অাছে।” २ বাপের বাড়ি যাইবার প্রসঙ্গে মণি কাদিয়াছে— এই খবরে যতীন বিচলিত হইয়া বালিশটাকে পিঠের কাছে টানিয়া তুলিল এবং একটু উঠিয়া হেলান দিয়া বসিল। বলিল, “মাসি, এই জানলাটা আর-একটু খুলে দাও, আর এই আলোটা এ ঘরে দরকার নেই।” জানলা খুলিতেই স্তৰু বাত্রি অনন্ত তীর্থপথের পথিকের মতো রোগীর দরজার কাছে