পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের পথে HVA থাকেন তাহার ওয়ার্ড স্বার্থের কবিতার কিরূপ সমাদর করিয়াছিলেন তাহা ইতিহাসে আছে। শেলিকে অস্পৃপ্ত অস্ত্যজের মতো তাহার দেশ সেদিন ঘরে ঢুকিতে দেয় নাই এবং কীটুসকে মৃত্যুবাণ মারিয়াছিল। আরও আধুনিক দৃষ্টাস্ত টেনিসন। তিনি ভিক্টোরীয় যুগের প্রচলিত লোকধর্মের কবি । তাই তাহার প্রভাব দেশের মধ্যে সর্বব্যাপী ছিল। কিন্তু, ভিক্টোরীয় যুগের বাস্তবতা যত ক্ষীণ হইতেছে টেনিসনের আসনও তত সংকীর্ণ হইয়া আসিতেছে। র্তাহার কাব্য যে গুণে টিকিবে তাহ নিত্যরসের গুণে, তাহাতে ভিক্টোরীয় ব্রিটিশবস্তু বহুল পরিমাণে আছে বলিয়া নহে— সেই স্কুল বস্তুটাই প্রতিদিন ধসিয়া পড়িতেছে । আমাদের কালের লেখকদের মোটা অপরাধটা এই যে, আমরা ইংরেজি পড়িয়াছি । ইংরেজি শিক্ষা বাঙালির পক্ষে বাস্তব নহে, অতএব তাহা বাস্তবতার কারণও নহে, আর সেইজন্যই এখনকার সাহিত্য দেশের লোকসাধাণকে শিক্ষা ও আনন্য দিতে পারে না । উত্তম কথা । কিন্তু, দেশের যে-সব লোক ইংরেজি শেখে নাই তাহদের তুলনায় আমাদের সংখ্যা তো নগণ্য । কেহ তাহীদের তো কলম কাড়িয়া লয় নাই। আমর কেবল আমাদের অবাস্তবতার জোরে দেশের সমস্ত বাস্তবিকদের চেয়ে জিতিয়া যাইব, ইহা স্বভাবের নিয়ম নহে । হয়তো উত্তরে শুনিব, আমরা হারিতেছি । ইংরেজি যাহার শেখে নাই তাহারাই দেশের বাস্তব-সাহিত্য হষ্টি করিতেছে, তাহাই টিকিবে এবং তাহাতেই লোকশিক্ষা श्हें एव । তাই যদি হয় তবে আর ভাবনা কিসের । বাস্তব-সাহিত্যের বিপুল ক্ষেত্র ও আয়োজন দেশ জুড়িয়া রহিয়াছে; তাহার মধ্যে ছিটাফোটা অবাস্তব মুহূর্তকালও টিকিতে পারিবে না। কিন্তু, সেই বৃহৎ বাস্তব-সাহিত্যকে চোখে দেখিলে কাজে লাগিত, একটা আদশ পাওয়া যাইত। যতক্ষণ তাহার পরিচয় নাই ততক্ষণ যদি গায়ের জোরে তাহাকে মানিয়া লই তবে সেটা বাস্তবিক হইবে না, কাল্পনিক হইবে। অথচ, এ দিকে ইংরেজি-পোড়োর যে-সাহিত্য স্থষ্টি করিল, রাগিয়া তাহাকে গালি দিলেও, সে বাড়িয়া উঠিতেছে ; নিন্দা করিলেও তাহাকে অস্বীকার করিবার জো নাই। ইহাই বাস্তবের প্রকৃত লক্ষণ। এই-যে কোনো কোনো মানুষ খামখা রাগিয়া ইহাকে उज्जहेिब्रा नियांद्र ८छठे कब्रिt७८छ् डाशंद्र७ कांब्र१, ७ यभ्रं नब्र, भांब्रां नछ, ५ वांरष्ठव । ८मर्थ