পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের পথে والحكم GA কালকের সাধারণ মানুষ হয়তো তাহা বুঝিবে, অন্তত সেইরূপ আশা করি । কিন্তু, কালিদাস যদি কবি না হইয়া লোকহিতৈষী হইতেন তবে সেই পঞ্চম শতাব্দীর উজ্জয়িনীর কৃষাণদের জন্ত হয়তো প্রাথমিক শিক্ষার উপযোগী কয়েকখানা বই লিখিতেন— তাহা হইলে তারপর হইতে এতগুলা শতাব্দীর কী দশা হইত। তুমি কি মনে কর, লোকহিতৈষী তখন কেহ ছিল না। লোকসাধারণের নৈতিক ও জাঠরিক উন্নতি কী করিয়া হইতে পারে, সে কথা ভাবিয়া কেহ কি তখন কোনো বই লেখে নাই। কিন্তু, সে কি সাহিত্য । ক্লাসের পড়া শেষ হইলেই বংসর-অন্তর ইস্কুলের বইয়ের যে দশা হয় তাহদেরও সেই দশা হইয়াছে, অর্থাৎ স্বেদ-কম্প-রোমাঞ্চর ভিতর দিয়া একেবারেই দশম দশা। যাহা ভালো তাহাকে পাইবার জন্য সাধনা করিতেই হুইবে— রাজার ছেলেকে ও করিতে হইবে, কৃষাণের ছেলেকেও । রাজার ছেলের স্থবিধা এই যে, তাহার সাধন করিবার সময় আছে, কৃষাণের ছেলের নাই । কিন্তু, সেটা সামাজিক ব্যবস্থার তর্ক— যদি প্রতিকার করিতে পার, করিয়া দাও, কাহারও আপত্তি হইবে না। তানসেন তাই বলিয়া মেঠো-সুর তৈরি করিতে বসিবেন না। র্তাহার স্বষ্টি আনন্দের স্বাক্ট, সে যাহা তাহাই ; আর-কোনো মতলবে সে আর-কিছু হইতে পারেই না । যাহারা রসপিপাস্ক তাহার যত্ন করিয়া শিক্ষা করিয়া সেই ধ্রুপদগুলির নিগৃঢ় মধুকোষের মধ্যে প্রবেশ করিবে। অবশ্য, লোক-সাধারণ যতক্ষণ সেই মধুকোষের পথ না জানিবে ততক্ষণ তানসেনের গান তাহাদের কাছে সম্পূর্ণ অবাস্তব, এ কথা মানিতেই হইবে। তাই বলিতেছিলাম, কোথায় কোন বস্তুর খোজ করিতে হইবে, কেমন করিয়া খোজ করিতে হইবে, কে তাহার খোজ পাইবার অধিকারী, সেটা তো নিজের খেয়াল-মতো এক কথায় প্রমাণ বা অপ্রমাণ করা যায় না। তবে কবিদের অবলম্বনটা কী । একটা-কিছুর পরে জোর করিয়া তাহারা তো ভর দিয়াছেন। নিশ্চয়ই দিয়াছেন । সেটা অন্তরের অনুভূতি এবং আত্মপ্রসাদ । কবি नि ५क ८वनाशं ?छडश्च शश्ा वञिङ्ग। बीबिश्न, क्षतःि डिनेि निट्झव चङ्गडि विश्वं বিশ্ব প্রকৃতি ও মানবপ্রকৃতির সহিত আত্মীয়তা করিয়া থাকেন যদি শিক্ষা অভ্যাস প্রথা শাস্ত্র প্রভৃতি জড় আবরণের ভিতর দিয়া কেবলমাত্র দশের নিয়মে তিনি বিশ্বের সঙ্গে ব্যবহার না করেন, তবে তিনি নিখিলের সংস্রবে যাহা অনুভব করিবেন তাহার একান্ত বাস্তবতা সম্বন্ধে তাহার মনে কোনো সন্দেহ থাকিবে না। বিশ্ববস্তু ও বিশ্বরসকে একেবারে অব্যবহিত ভাবে তিনি নিজের জীবনে উপলব্ধি করিয়াছেন, এইখানেই তাহার জোর। পূর্বেই বলিয়াছি, বাহিরের হাটে বস্তুর দর কেবলই উঠা-নমা করিতেছে