পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের পথে * అ3) সে মেয়ে ৰে কেমন ক’রে রাস্তা দিয়ে ঘরে ফিরে যাবে সে তর্ক সেই সত্যের জগৎ থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তথ্যের এতবড়ো অপলাপ ঘটে, ও সত্যের কিছুমাত্র খর্বত হয় না— সাহিত্যের ক্ষেত্রটা এমনি । রসবন্তর এবং তথ্যৰস্তুর এক ধর্ম এবং এক মূল্য নয়। তথ্যজগতের ষে আলোকরশ্মি দেয়ালে এসে ঠেকে ৰায়, রসজগতে সে রশ্মি স্থলকে ভেদ ক’রে অনায়ালে পার হয়ে যায় ; তাকে মিস্ত্রি ডাকতে বা সিদ্ধ কাটতে হয় না। রসজগতে ভিখারির জীর্ণ চারখানা থেকেও নেই, তার মূল্যও তেমনি লক্ষপতির সমস্ত ঐশ্বর্ধের চেয়ে বড়ো। এমনি উলটো-পালটা কাও । তথ্য জগতে একজন ভালো ডাক্তার সব হিসাবেই খুব যোগ্য ব্যক্তি । কিন্তু, তার পয়সা এবং পলার যতই অপৰ্যাপ্ত হোক-না কেন, তার উপরে চোদ্দ লাইনের কবিতা লেখাও চলে না । নিতান্ত ষে উমেদার সে যদি বা লিখে বসে তা হলে বড়ো ডাক্তারের সঙ্গে যোগ থাকা সত্ত্বেও চোদ দিনও সে কবিতার আয়ুরক্ষা হয় না। অতএব, রসের জগতের আলোকরশ্মি এতবড়ো ডাক্তারের মধ্য দিয়েও পার হয়ে যায়। কিন্তু, এই ডাক্তারকে যে তার সমস্ত প্রাণমন দিয়ে ভালো বেসেছে তার কাছে ডাক্তার রসবস্ত হয়ে প্রকাশ পায় । হবামাত্র ডাক্তারকে লক্ষ্য ক’রে তার প্রেমাসক্ত অনায়াসে বলতে পারে— জনমঅবধি হাম রূপ নেহারস্থ নয়ন ন তিরপিত ভেল, লাখ লাখ যুগ হিয়ে হিয়ে রাখস্থ তৰু হিয়ে জুড়ন ন গেল । আঙ্কিক বলছেন, লাখ লাখ যুগ পূর্বে ডাক্কয়িনের মতে ডাক্তারের পূর্বতন সত্তা ৰে কী ছিল লে কথা উত্থাপন করা নীতিবিরুদ্ধ না হলেও রুচিবিরুদ্ধ। যা হোক, সোজা কথা হচ্ছে, ডাক্তারের কুষ্ঠিতে লাপ লাখ যুগের অঙ্কপাত হতেই পারে না। তর্ক করা মিছে, কারণ শিশুও এ কথা জানে। ডাক্তার যে সে তো সেদিন জন্মেছে ; কিন্তু বন্ধু যে সে নিত্যকালের হৃদয়ের ধন । সে যে কোনো-এক কালে ছিল না, আর কোনো-এক কালে থাকবে না, সে কথা মনেও করতে পারি নে। জ্ঞানদাসের দুটি পংক্তি মনে পড়ছে— ७क छूहे भनहे८ङ अख नाश् िनोहे, রূপে গুণে রসে প্রেমে আস্থতি বাঢ়াই। 龜 এক-দুইয়ের ক্ষেত্র হল বিজ্ঞানের ক্ষেত্র। কিন্তু, রসসত্যের ক্ষেত্রে যে-প্রাণের আরতি বাড়তে থাকে সে তো অঙ্কের হিসাবে ৰাড়ে না। সেখানে এক-দুইয়ের বালাই নেই, নামতার দৌরাত্মা নেই। অতএব, কাব্যের বা চিত্রের ক্ষেত্রে ধারা সার্তে-বিভাগের মাপকাঠি নিয়ে সত্যের