পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

முக সাহিত্যের-পথে * 8 on ঈশ্বরগুপ্ত পাঠার উপর কবিতা লিখেছিলেন সেদিন নূতন ইংরেজরাজের এই হঠাৎ শহর কলকাতার বাবুমহলে কিরকম তার প্রশংসাধ্বনি উঠেছে । আজকের দিনে পাঠক তাকে কাব্যের পংক্তিতে স্বভাবতই স্থান দেবে না ; পেটুকতার নীতিবিরুদ্ধ অসংযম বিচার ক’রে নয়, ভোজনলালসার চরম মূল্য তার কাছে নেই ব’লেই । সম্প্রতি আমাদের সাহিত্যে বিদেশের আমদানি যে-একটা বে-আক্রতা এসেছে সেটাকেও এখানকার কেউ-কেউ মনে করছেন নিত্যপদার্থ ; ভুলে যান, ষা নিত্য তা অতীতকে সম্পূর্ণ প্রতিবাদ করে না। মানুষের রসবোধে বে-আব্রু আছে সেইটেই निडा ; cय-श्रांडिखांडा बां८छ् ब्रट्नद्र ८क८ब cनहेcप्लेशे निडा ।। ७थनकांद्र विखांनयनमख ডিমোক্রাপি তাল ঠুকে বলছে, ঐ আক্রটাই দৌর্বল্য, নির্বিচার অলঙ্গতাই আর্টের পৌরুষ । এই ল্যাঙট-পরা গুলি-পাকানো ধুলো-মাখা আধুনিকতারই একটা স্বদেশী দৃষ্টান্ত দেখেছি হোলিথেলার দিনে চিৎপুর রোডে। সেই খেলায় আবির নেই, গুলাল নেই, পিচকারি নেই, গান নেই, লম্বা লম্বা ভিজে কাপড়ের টুকরো দিয়ে রাস্তার ধুলোকে পাক করে তুলে তাই চিৎকারশত্বে পরস্পরের গায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাগলামি করাকেই জনসাধারণ বসন্ত-উৎসব ব’লে গণ্য করেছে। পরম্পরকে মলিন করাই তার লক্ষ্য, রঙিন করা নয়। মাঝে মাঝে এই অবারিত মালিন্তের উন্মত্ততা মানুষের মনস্তত্ত্বে মেলে না, এমন কথা বলি নে । অতএব সাইকো-এনালিলিসে এর কার্ধকারণ বছষত্বে বিচাধ । কিন্তু, মানুষের রসবোধই ষে-উৎসবের মূল প্রেরণা সেখানে যদি সাধারণ মলিনতায় সকল মানুষকে কলঙ্কিত করাকেই আনন্দপ্রকাশ বলা হয়, তবে সেই বর্বরতার মনস্তত্ত্বকে এ ক্ষেত্রে অসংগত ব'লেই আপত্তি করব, অসত্য ব’লে নয়। সাহিত্যে রসের হোলিখেলায় কাদা-মাখামাখির পক্ষ সমর্থন উপলক্ষে অনেকে প্রশ্ন করেন, সত্যের মধ্যে এর স্থান নেই কি ! এ প্রশ্নটাই অবৈধ । উৎসবের দিনে ভোজপুরীর দল যখন মাত লামর ভূতে-পাওয়া মাদল-করতালের খচোখচোখচকার যোগে একঘেয়ে পদের পুনঃ পুনঃ আবর্তিত গর্জনে পীড়িত স্বরলোককে আক্রমণ করতে থাকে, তখন আর্ত ব্যক্তিকে এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করাই অনাবশুক যে এটা সত্য কি না, যথার্থ প্রশ্ন হচ্ছে এটা সংগীত কি না । মত্ততার আত্মবিস্মৃতিতে একরকম উল্লাল হয় ; কণ্ঠের অক্লান্ত উত্তেজনায় খুব-একটা জোরও আছে। মাধুৰ্বহীন সেই রূঢ়তাকেই যদি শক্তির লক্ষণ ব'লে মানতে হয় তবে এই পালোয়ানির মাতামাতিকে বাহাছৱি দিতে হবে সে-কথা স্বীকার করি। কিন্তু, ততঃ কিম্‌! এ পৌরুষ চিৎপুর রাস্তার, অমরপুরীর সাহিত্যকলার নয়। 源