পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9%२ ब्रयौथा-ब्रक्रमांबजौ কাল-মশলার মতো ব্যবহার করেন। এই ভাবুকতার কারি-পাউণ্ডরের ৰোগে একটা झबिभ नष्ठा गाश्छिद्र रुष्ट श्ब ॐ८झ् । भई उ*ाटद्र विना यठिडांब ७वर जब्र শক্তিতেই বাহবা পাওয়া যায়, এইজন্তেই অপটু লেখকের পক্ষে এ একটা মন্ত প্রলোভন এবং অবিচারক পাঠকের পক্ষে একটা সাহিত্যিক অপথ্য। সাহিত্যে লালসা ইতিপূর্বে স্থান পায় নি বা এর পরে স্থান পাবে না, এমন কৰা সত্যের খাতিরে বলতে পারি নে। কিন্তু, ও জিনিসটা সাহিত্যের পক্ষে বিপদজনক । বল বাহুল্য, সামাজিক বিপদের কথাটা আমি তুলছি নে। বিপদের কারণটা হচ্ছে, ওটা অত্যন্ত সস্তা, ধুলোর উপরে শুয়ে পড়ার মতোই সহজসাধ্য। অর্থাং, ধূলোয় ধার লুটোতে সংকোচ নেই তার পক্ষে একেবারেই সহজ । পাঠকের মনে এই আদিম প্রবৃত্তির উত্তেজনা সঞ্চার করা অতি অল্পেই হয়। এই জন্তেই, পাঠকসমাজে এমন একটা কথা যদি ওঠে যে, সাহিত্যে লালসাকে একান্ত উন্মথিত করাটাই আধুনিক যুগের একটা মস্ত ওস্তাদি, তা হলে এজন্তে বিশেষ শক্তিমান লেখকের দরকার হবে না—সাহস দেখিয়ে বাহাদুরি করবার নেশা যাদের লাগবে তারা এতে অতি সহজেই মেতে উঠতে পারবে। সাহসট সমাজেই কী, সাহিত্যেই কী, ভালো জিনিস । কিন্তু, সাহসের মধ্যেও শ্রেণীবিচার, মূল্যবিচার আছে। কোনো-কিছুকে কেয়ার করি নে ব’লেই ৰে সাহস, তার চেয়ে বড়ো জিনিস হচ্ছে একটা-কিছুকে কেয়ার করি ব'লেই যে সাহস । মামুষের শরীর-ঘেষা যে সব সংস্কার জীবশ্বষ্টির ইতিহাসে সেইগুলো অনেক পুরোনে, প্রথম অধ্যায় থেকেই তাদের আরম্ভ। একটু ছতে-ন ছুতেই তারা কন্‌ঝন্‌ ক’রে বেজে ওঠে । মেঘনাদবধের নরকবর্ণনায় বীভৎস রসের অবতারণা উপলক্ষ্যে মাইকেল এক জায়গায় বর্ণনা করেছেন, নারকী বমন ক’রে উদগীর্ণ পদার্থ আবার খাচ্ছে—এ বর্ণনায় পাঠকের মনে ঘুণ সঞ্চার করতে কৰিত্ৰশক্তির প্রয়োজন করে না, কিন্তু আমাদের মানসিকতার মধ্যে যে সব ঘৃণ্যতার মূল তার প্রতি ঘৃণা জাগিয়ে তুলতে কল্পনাশক্তির দরকার। ঘৃণাবৃত্তির প্রকাশটা সাহিত্যে জায়গা পাবে না, এ কথা বলৰ ন। কিন্তু সেটা যদি একান্তই একটা দৈহিক সস্তা জিনিস হয় তা হলে তাকে অবজ্ঞা করার অভ্যাসটাকে নষ্ট না করলেই ভালে। হয় । তুচ্ছ ও মহুতের, ভালো ও মন্দের, কাকর ও পদ্মের ভেদ অসীমের মধ্যে নেই অতএব সাহিত্যেই বা কেন থাকবে, এমন একটা প্রশ্ন পরম্পরায় কানে উঠল। এমন কথারও কি উত্তর দেওয়ার দরকার আছে। ধারা তুরীয় অবস্থায় উঠেছেন তাদের কাছে সাহিত্যও নেই, আর্টও নেই ; তাদের কথা ছেড়েই দেওয়া যায়। কিন্তু, কিছুর সঙ্গে কিছুরই মূল্যভেদ যদি সাহিত্যেও না থাকে তা হলে পৃৰিৰীতে সকল লেখাই তো