পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Hළ • রবীন্দ্র-রচনাবলী * সে জগৎ কোনো মাকুবের না । পীচগাছে ফুল ধরে, জলের স্রোত যায় বয়ে । জার একটা ছবি— নীল জল•••নির্মল টাঙ্গ, চাদের আলোতে সাদা সারস উড়ে চলেছে । ঐ শোনো, পানফল জড়ো করতে মেয়েরা এসেছিল ; তারা বাড়ি ফিরছে রাত্রে গান গাইতে গাইতে । জার একটা— নগ্ন দেহে শুয়ে অাছি বসস্তে সবুজ বনে । এতই আলস্ত যে সাদা পালকের পাখাটা নড়াতে গা লাগছে না । টুপিটা রেখে দিয়েছি ঐ পাহাড়ের আগায়, পাইনগাছের ভিতর দিয়ে হাওয়া আসছে আমার খালি মাথার পরে । একটি বধুর কথা— আমার ছাটা চুল ছিল খাটে, তাতে কপাল ঢাকত না । আমি দরজার সামনে খেলা করছিলুম, তুলছিলুম ফুল । তুমি এলে আমার প্রিয়, বাশের খেলা-ঘোড়ায় চড়ে, কাচা কুল ছড়াতে ছড়াতে । চাঙ কানের গলিতে আমরা থাকতুম কাছে কাছে । অামাদের বয়স ছিল অল্প, মন ছিল আনন্দে ভরা । তোমার সঙ্গে বিয়ে হল যখন আমি পড়লুম চোদয় । এত লজ্জা ছিল যে হাসতে সাহস হত না, অন্ধকার কোণে থাকতুম মাথা হেঁট ক’রে, তুমি হাজার বার ডাকলেও মুখ ফেরাতুম না । পনেরো বছরে পড়তে আমার ভুরকুটি গেল ঘুচে, অামি হাসলুম ••• আমি যখন ষোলো তুমি গেলে দূর প্রবালে— চু্যটাঙের গিরিপথে, ঘূর্ণিজল আর পাথরের ঢিবির ভিতর দিয়ে । পঞ্চম মাস এল, জামার আর সহ হয় না ।