রবীন্দ্র-রচনাবলী שא8e প্রয়োজনের দাবি প্রবল এবং তা অসংখ্য । কেননা, যতটা আয়োজন আমাদের জরুরি তা আপন পরিমাণ রক্ষা করে না । অভাবমোচন হয়ে গেলেও তৃপ্তিহীন কামনা হাত পেতে থাকে ; সঞ্চয়ের ভিড় জমে, সন্ধানের বিশ্রাম থাকে না। সংসারের সকল বিভাগেই এই যে 'চাই-চাইয়ের হাট বসে গেছে, এরই আশেপাশে মানুষ একটা ফাক খোজে যেখানে তার মন বলে 'চাই নে', অর্থাৎ এমন কিছু চাই নে যেটা লাগে সঞ্চয়ে । তাই দেখতে পাই প্রয়োজনের এত চাপের মধ্যেও মাস্থ্য অপ্রয়োজনের উপাদান এত প্রভূত ক’রে তুলেছে, অপ্রয়োজনের মূল্য তার কাছে এত বেশি। তার গৌরব সেখানে, ঐশ্বৰ্ষ সেখানে, যেখানে সে প্রয়োজনকে ছাড়িয়ে গেছে । বলা বাহুল্য, বিশুদ্ধ সাহিত্য অপ্রয়োজনীয় ; তার যে-রস সে অহৈতুক । মানুষ সেই দায়মুক্ত বৃহৎ অবকাশের ক্ষেত্রে কল্পনার সোনার-কাঠি-ছোওয়া সামগ্রীকে জাগ্রত করে জানে আপনারই সত্তায় । তার সেই অনুভবে অর্থাৎ আপনারই বিশেষ উপলব্ধিতে তার আনন্দ । এই আনন্দ দেওয়া ছাড়া সাহিত্যের অন্ত কোনো উদ্দেগু আছে ব’লে জানি নে । লোকে বলে, সাহিত্য যে আনন্দ দেয় সেটা সৌন্দর্ঘের আনন্দ । সে-কথা বিচার ক’রে দেখবার যোগ্য। সৌন্দর্যরহস্তকে বিশ্লেষণ ক’রে ব্যাখ্যা করবার অসাধ্য চেষ্টা করব না। অনুভূতির বাইরে দেখতে পাই, সৌন্দর্য অনেকগুলি তথ্যমাত্রকে অর্থাৎ ফ্যাক্টসকে অধিকার করে আছে। সেগুলি স্বন্দরও নয়, অম্বন্দরও নয়। গোলাপের আছে বিশেষ আকার-আয়তনের কতকগুলি পাপড়ি, বেঁটা ; তাকে ঘিরে আছে সৰুজ পাতা। এই-সমস্তকে নিয়ে বিরাজ করে এই-সমস্তের অতীত একটি ঐক্যতত্ত্ব, তাকে বলি সৌন্দর্য । সেই ঐক্য উদবোধিত করে তাকেই যে আমার অন্তরতম ঐক্য, ৰে আমার ব্যক্তিপুরুষ। অম্বন্দর সামগ্রীরও প্রকাশ আছে, সেও একটা সমগ্রতা, একটা ঐক্য, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু, তার বস্তুরূপী তথ্যটাই মুখ্য, ঐক্যটা গৌণ। গোলাপের আকারে আয়তনে, তার স্বযমায়, তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পরস্পর সামঞ্জস্তে, বিশেষভাবে নির্দেশ করে দিচ্ছে তার সমগ্রের মধ্যে পরিব্যাপ্ত এককে ; সেইজন্তে গোলাপ আমাদের কাছে কেবল একটি তথ্যমাত্র নয়, সে স্কুন্দর। কিন্তু শুধু স্বনার কেন, যে-কোনো পদার্থই আপন তথ্যমাত্রকে অতিক্রম করে গে আমার কাছে তেমনি সত্য হয় যেমন সত্য আমি নিজে । আমি নিজেও সেই পদার্থ বা বহু তথ্যকে আবৃত ক’রে অথও এক । छेक-चtत्रद्र शंनिएउद्र ऋषा ८६-७क ग्रंडीब cगोषशा, ८ष-4काँ ये कTज्ञ* बां८झ्, নিঃসন্দেহ গাণিতিক তার মধ্যে আপনাকে নিমগ্ন করে। তার সামগ্রস্তের তথ্যটি শুধু
