পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88रे রবীন্দ্র-রচনাবলী নিজের কোনো বিশেষ ক্ষতির উত্তেজনাতেই ষে মানুষ নিন্দ করে, তা নয়। যাকে সে জানে না, যে তার কোনো অপকার করে নি, তার নামে আকারণ কলঙ্ক আরোপ করায় ষে নিঃস্বার্থ দুঃখজনকতা আছে দলে-বলে নিন্দাপাধনার ভৈরবীচক্রে বলে নিন্দুক ভোগ করে তাই। ব্যাপারটা নিষ্ঠুর এবং কদৰ্ধ, কিন্তু তীব্র তার আস্বাদন। যার প্রতি আমরা উদাসীন সে আমাদের মুখ দেয় না, কিন্তু নিন্দার পাত্র আমাদের অনুভূতিকে প্রবলভাবে উদ্দীপ্ত করে রাখে। এইহেতুই পরের দুঃখকে উপভোগ্য সামগ্রী করে নেওয়া মানুষ-বিশেষের কাছে কেন বিলাসের অঙ্গরূপে গণ্য হয়, কেন মহিষের মতো অত বড়ো প্রকাও প্রবল জন্তুকে বলি দেবার সঙ্গে সঙ্গে রক্তমাখ। উন্মত্ত নৃত্য সম্ভবপর হতে পারে, তার কারণ বোঝা সহজ । দুঃখের অভিজ্ঞতায় আমাদের চেতনা আলোড়িত হয়ে ওঠে। দুঃখের কটুম্বাদে দুই চোখ দিয়ে জল পড়তে থাকলেও তা উপাদেয় । দুঃখের অনুভূতি সহজ আরামবোধের চেয়ে প্রবলতর। ট্রাজেডির মূল্য এই নিয়ে। কৈকেয়ীর প্ররোচনায় রামচন্দ্রের নির্বাসন, মন্থরার উল্লাস, দশরথের মৃত্যু, এর মধ্যে ভালো কিছুই নেই। সহজ ভাষায় ধাকে আমরা স্বন্দর বলি এ ঘটনা তার সমশ্রেণীর নয়, এ কথা মানতেই হবে । তবু এই ঘটনা নিয়ে কত কাব্য নাটক ছবি গান পাচালি বহুকাল থেকে চলে আসছে ; ভিড় জমছে কত ; আনন্দ পাচ্ছে সবাই । এতেই আছে বেগবান অভিজ্ঞতায় ব্যক্তিপুরুষের প্রবল আত্মাঙ্কতুতি । বদ্ধ জল যেমন বোবা, গুমট হাওয়া যেমন আত্মপরিচয়হীন, তেমনি প্রাত্যহিক আধমরা অভ্যাসের একটানা আবৃত্তি ঘা দেয় না চেতনায়, তাতে সত্তাবোধ নিস্তেজ হয়ে থাকে। তাই দুঃখে বিপদে বিদ্রোহে বিপ্লবে অপ্রকাশের আবেশ কাটিয়ে মাস্থ্য আপনাকে প্রবল আবেগে উপলব্ধি করতে চায় । একদিন এই কথাটি আমার কোনো একটি কবিতায় লিখেছিলেম। বলেছিলেম, আমার অন্তরতম আমি আলস্তে আবেশে বিলাসের প্রশ্রয়ে ঘুমিয়ে পড়ে; নির্দয় আঘাতে তার অসাড়ত। ঘুচিয়ে তাকে জাগিয়ে তুলে তবেই সেই আমার আপনাকে নিবিড় ক’রে পাই, সেই পাওয়াতেই আনন্দ । এত কাল আমি রেখেছিন্থ তারে স্বতনভরে শয়ন-’পরে ; ব্যথা পাছে লাগে, দুখ পাছে জাগে, निलिनिन डाहे वह बडूब्रां८ण বtলরশয়ন করেছি রচন কুস্থমখরে, দুয়ার রুধিয়া রেখেছিন্থ তারে গোপন ঘরে