পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী এ বাণী বস্তুত কেবলমাত্র উচ্চদরের উপদেশের ছুতো, ডাইডাকটিক আখ্যা দিয়ে ষারে লিন্দা করে নতুন অলংকারে । গা ছুঁয়ে তোর কই, কবিই আমি, উপদেষ্ট নই ৷ বলি-পড়া বাকল ওয়ালা বিদেশী ঐ গাছে গন্ধবিহীন মুকুল ধরে অtছে অণকাবাক ডালের ডগা ধূসর রঙে ছেয়ে— যদি বলি ওটাই ভালো মাধবিকার চেয়ে, দোহাই তোমার কুরঙ্গনয়নী, ব্যঙ্গ কুটিল দুর্বাক্য-চয়নী, ভেবো না গো, পূর্ণচন্দ্রমুখী, হরিজনের প্রপাগ্যাণ্ড দিচ্ছে বুঝি উকি । এতদিন তো ছন্দে-বাধা অনেক কলরবে অনেকরকম রঙ-চড়ানো স্তবে স্বন্দরীদের জুগিয়ে এলেম মান— অtজকে যদি বলি ‘আগমণর প্রাণ জগামালীর মালায় পেল একটা কিছু খণটি’, তাই নিয়ে কি চলবে ঝগড়াঝাটি ।” নাতনি কহেন, “ঠাট। করে উড়িয়ে দিচ্ছ কথা, অtমার মনে সত্যি লাগায় ব্যথা । তোমার বয়স চারিদিকের বয়সখানা হতে চলে গেছে অনেক দূরের শ্রেণীতে । একলা কাটা ও ঝাপসা দিবস রাতি, নাইকে তোমার আপন দরের সাথি । জগণমালীর মালাট তাই অপনে বর্তমানের অবজ্ঞাভার নীরস অসম্মানে ।” আমি বললেম, “দয়াময়ী, ঐটে তোমার ভুল, ঐ কথাটার নাইকে কোনো মুল ।