পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ઉછરે ब्ररौौटा-ब्रध्नांयलौ বিকেলের পড়ন্ত রৌত্রে ঘুটে সংগ্ৰহ ক’রে আপন ঝুড়িতে তুলছে, আর পিছনে পিছনে তার পোষা নেড়ি কুকুরটা লাফালাফি ক’রে বিরক্ত করছে— এই ব্যাপারটি যদি বিশিষ্ট স্বরূপ নিয়ে আমাদের চোখে পড়ে, একে যদি তথ্যমাত্রের সামান্তভা থেকে পৃথক ক’রে এর নিজের অস্তিত্বগৌরবে দেখি, তা হলে এও জায়গা নেবে ভাবের নিত্যজগতে । বস্তুত, আর্টিস্ট রা বিশেষ আনন্দ পায় এইরকম স্বষ্টিতেই । যা সহজেই সাধারণের চোখ ভোলায় তাতে তার নিজের স্বষ্টির গৌরব জোর পায় না। যা আপনিই ডাক দেয় না তার মুখে সে আমন্ত্রণ জাগিয়ে তোলে ; বিধাতার হাতের পাসপোর্ট নেই যার কাছে তাকে সে উত্তীর্ণ ক’রে দেয় মনোলোকে । অনেক সময় বড়ো আর্টিস্ট অবজ্ঞা করে সহজ মনোহরকে আপন স্থষ্টিতে ব্যবহার করতে। মানুষ বস্তুজগতের উপর অাপন বুদ্ধিকৌশল বিস্তার ক’রে নিজের জীবনযাত্রার একান্ত অমুগত একটি ব্যাবহারিক জগৎ সর্বদাই তৈরি করতে লেগেছে । তেমনি মানুষ আপন ইন্দ্ৰিয়বোধের জগৎকে পরিব্যাপ্ত ক’রে বিচিত্র কলাকৌশলে আপন ভাবরসভোগের জগৎ স্বষ্টি করতে প্রবৃত্ত । সেই তার সাহিত্য। ব্যাবহারিক বুদ্ধিনৈপুণ্যে মানুষ কলে বলে কৌশলে বিশ্বকে আপন হাতে পায়, আর কলানৈপুণ্যে কল্পনাশক্তিতে বিশ্বকে সে আপন কাছে পায়। প্রয়োজনসাধনে এর মূল্য নয় ; এর মূল্য আত্মীয়তাসাধনে, সাহিত্যসাধনে । একবার সেকালের দিকে তাকিয়ে দেখা যাক । সাহিত্যসাধনা সম্বন্ধে তখনকার দিনের মনোভাবের পরিচয় আছে একটি কাহিনীতে ; সেটা আলোচনার যোগ্য । ক্ৰৌঞ্চমিথুনের মধ্যে একটিকে ব্যাধ যখন হত্যা করলে তখন স্থণার আবেগে কবির কণ্ঠ থেকে অম্বুষ্টভ ছন্দ সহসা উচ্চারিত হল। কল্পনা করা যাক, বিশ্বস্বষ্টির পূর্বে স্বষ্টিকর্তার ধ্যানে সহসা জ্যোতি উঠল জেগে । এই জ্যোতির আছে অফুরান বেগ, অাছে প্রকাশশক্তি। স্বতই প্রশ্ন উঠল, আনস্তের মধ্যে এই জ্যোতি নিয়ে কী করা যাবে। তারই উত্তরে জ্যোতিরাত্মক অণুপরমাণুর ংঘ নিত্য-অভিব্যক্ত বিচিত্র রূপ ধরে আকাশে আকাশে আবর্তিত হয়ে চলল— এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মহিমা সেই আদিজ্যোতিরই উপযুক্ত। কৰিখষির মনে যখন সহসা সেই বেগবান শক্তিমান ছন্দের আবির্ভাৰ হল তখন प्रउहे थञ्च छांशंण, ७ब्रहे छेन्यूङ रुटि इeब्रा कोहे । उांब्रहे छेडरब्र ब्रक्रिड श्ण রামচরিত। অর্থাৎ, এমন-কিছু যা নিত্যতার আসনে প্রতিষ্ঠিত হবার যোগ্য । যার সান্নিধ্য অর্থাৎ যার সাহিত্য মানুষের কাছে আদরণীয়। মানুষের নির্মাণশক্তি বলশালী, আশ্চর্ষ তার নৈপুণ্য। এই শক্তি নিয়ে, এই নৈপুণ্য নিয়ে, সে বড়ো বড়ো নগর নির্মাণ করেছে। এই নগরের মূতি যেন মাছুষের গৌরব