পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8wbe রবীন্দ্র-রচনাবলী জন। এই ব্যাখ্যাকর্তী পাঠকদেরই সমশ্রেণীয়। উীর মুখে ভুল ব্যাখ্যা অসম্ভব নয়। আমার কাব্য ঠিক কী কথাটি বলছে, সেটি শোনৰায় জন্তে জামাকে বাইরে যেতে হবে— যারা শুনতে পেয়েছেন তাদের কাছে। সম্পূর্ণ ক'ৱে শোনার ক্ষমতা সকলের নেই। যেমন অনেক মাস্থ্য আছে যাদের গানের কান থাকে না— তাদের কানে স্বরগুলো পৌঁছয়, গান পৌছয় না, অর্থাৎ স্বরগুলির অবিচ্ছিন্ন ঐক্যটি তার স্বভাৰত ধরতে পারে না । কাৰ্য সম্বন্ধে সেই ঐক্যবোধের অভাব অনেকেরই আছে। তারা যে একেবারেই কিছু পায় না তা নয়— সন্দেশের মধ্যে তারা খাদ্যকে পায়, সন্দেশকেই পায় না। সন্দেশ চিনি-ছানার চেয়ে অনেক বেশি, তার মধ্যে স্বাদের ৰে-সমগ্রতা আছে সেটি পাবার জন্তে রসবোধের শক্তি থাকা চাই । বহু ও বিচিত্র অভিজ্ঞতার দ্বারা, চর্চার দ্বারা, এই সমগ্রতার অনির্বচনীয় রসবোধের শক্তি পরিণতি লাভ করে । যে-ৰ্যক্তি সেরা যাচনদার এক দিকে তার স্বাভাবিক স্বল্প অনুভূতি, আর-এক দিকে ব্যাপক অভিজ্ঞতা, দুয়েরই প্রয়োজন । এই কারণেই এই-ষে পরিষদের প্রতিষ্ঠা হয়েছে তার সার্থকতা আছে। এখানে কয়েকজন যে একত্র হয়েছেন তার একটিমাত্র কারণ, কাৰ্য থেকে তারা কিছু না কিছু গুনতে পেয়েছেন, তারা উদাসীন নন । এই পরম্পরের শোনা নানা দিক থেকে মিলিয়ে নেবার আনন্দ আছে। আর, যারা স্বভাবশ্রোতা, ধারা সম্পূর্ণকে সহজে উপলব্ধি করেন, তারা এই পরিষদে আপন যোগ্য আসনটি লাভ করতে পারবেন। এই পরিষদটি যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এতে আমি নিজেকে ধন্ত মনে করি। কবির পক্ষে সকলের চেয়ে ৰড়ে স্থযোগ, পাঠকের শ্রদ্ধা। যুক্তিসিদ্ধ বিষয়ের প্রধান সহায় প্রমাণ, রসস্থষ্টি-পদার্থের প্রধান সহায় শ্রদ্ধা । স্বন্দরকে দেখবার পক্ষে অশ্রদ্ধার মতো অন্ধতা আর নেই । এই বিশ্বরচনায় সুন্দরের ধৈর্ষ অপরিসীম। চিত্তে যখন উপেক্ষ, শ্রদ্ধা যখন অসাড়, তখনও প্রভাতে সন্ধ্যায় ঋতুতে ঋতুতে স্বম্বর আসেন, কোনো অৰ্ঘ্য না নিয়ে চলে যান, তাকে যে গ্রহণ করতে না পারলে সে জানতেও পারে না যে সে বঞ্চিত। যুগে যুগে মানুষের স্বষ্টিতেও এমন ঘটনা ঘটেছে, অশ্রদ্ধার অন্ধকার রাত্রে স্কুলার অলক্ষ্যে এসেছেন, দীপ জালা হয় নি, অলক্ষ্যে চলে গিয়েছেন। সাহিত্যে ও কলারচনায় আজ আমাদের যে সঞ্চয় তা যুগযুগান্তরের বহু অপচয়ের পরিশিষ্ট তাতে गानश् cनहे । चानक चडिथि क्रिब्र यांच्च क्रकचांदब बूषा चांघांठ क'८ब्र, ८कखे-वा দৈবক্রমে এসে পড়ে যখন গৃহস্থ জেগে আছে। কেউ-বা অনেক দ্বার থেকে ফিরে গিয়ে হঠাৎ দেখে একটা গৃহের দ্বার খোলা । আমার সৌভাগ্য এই যে, এখানে দ্বার খোলা পেয়েছি, আহবান শুনতে পাচ্ছি “এলো’। এই পরিষদ জামাকে শ্রদ্ধার জালন