পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্যের পথে & eS দেশান্তরে বাবার ব্যবস্থা করাই কর্তব্য। বিষয়প্রধান সাহিত্যই যদি এই যুগের সাহিত্য হয় তা হলে বলতেই হবে, এটা সাহিত্যের পক্ষে যুগান্ত । সভায় আমার বক্তব্য শেষ হলে পর অধ্যাপক অপূর্বকুমার চন্দ বললেন : কাৰ্যসাহিত্যের বিশিষ্টত ভাবের প্রগাঢ়তায় ( intensity ) । কবি টমসন ঋতুবর্ণনাচ্ছলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করেছেন, এইখানে ওয়ার্ড স্বার্থের সঙ্গে তার কাব্যবিষয়ের মিল আছে, কিন্তু পরম্পরের প্রভেদের কারণ হচ্ছে এই যে, টম্সনের কবিতায় কাব্যের বিষয়টির গভীরতা নেই, বেগ নেই, ওয়ার্ড স্বার্থের সেটি আছে। আমি বললুম : তুমি যাকে প্রগাঢ়তা বলছ সেটা বস্তুত রূপস্থষ্টিরই অঙ্গ। স্বন্দর দেহের রূপের কথা যখন বলি তখন বুঝতে হবে, সেই রূপের মধ্যে অনেকগুলি গুণের মিলন আছে। দেহটি শিথিল নয়, বেশ আঁটপাট, তা প্রাণের তেজে ও বেগে পরিপূর্ণ, স্বাস্থ্যসম্পদে তা সারবান, ইত্যাদি। অর্থাৎ এইরকমের যতগুলি গুণ তার বেশি তার রূপের মূল্যও তত বেশি। এই-সব গুণগুলি একটি রূপের মধ্যে মূর্তিমান হয়ে যখন অবিচ্ছিন্ন ঐক্য পায় তখন তাতে আমরা আনন্দ পেয়ে থাকি । নাইটিঙ্গেল পাখিকে উদ্দেশ করে কীটুল একটি কবিতা লিখেছেন। তার মাঝখানটায় মানবজীবনের দুঃখতাপ ও নশ্বরতা নিয়ে বিশেষ একটি বেদনা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু, সেই ८वमनांद्र उँौबडाहे कविडांद्र छद्रय कथ। नञ्च ; बांनबछौवन ८ष फू:१भग्न, ७हे कथाüांद्र मांक7 নেবার জন্তে কবির দ্বারে যাবার কোনো প্রয়োজন নেই– তা ছাড়া, কথাটা একটা সর্বাঙ্গীণ ও গভীর সত্যও নয় – কিন্তু এই নৈরাশুবেদনাকে উপলক্ষ্যমাত্র করে ঐ কবিতাটি ধে একটি বিশেষ রূপ ধরে সম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে সেইটেই হচ্ছে ওর কাব্যহিসাবে সার্থকতা। কৰি পৃথিবী সম্বন্ধে বলছেন— Here, where men sit and hear each other groan ; Where palsy shakes a few, sad, last gray hairs; Where youth grows pale, and spectre-thin, and dies; Where but to think is to be full of sorrow And leaden-eyed despairs ; Where Beauty cannot keep her lustrous eyes, Or new Love pine at them beyond to-morrow. একে ইনটেলিটি বলা চলে না, এ রুর চিত্তের অত্যুক্তি, এতে অস্বাস্থ্যের দুর্বলতাই প্রকাশ পাচ্ছে— তৎসত্বেও মোটের উপর সমস্তটা নিয়ে এই কবিতাটি রূপবান কবিতা ।