পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী و e ) মনে তার জন্তে ষে-আকাঙ্ক্ষা আছে তাকে রন্থের মতো সাহিত্যের বহুমূল্য কোঁটোর মধ্যে রেখে দিই— তাকে সংসারযাত্রায় ব্যক্ত সত্যের চেয়ে সম্পূর্ণতর করে উপলব্ধি कप्रिं ।। ७हे श्रांकांख्यक झउचक१ भझ९ ५i८क ७ब६ dहे बांकांख्झांद्र ©कांच যতক্ষণ লোকের কাছে মূল্য পায়, ততক্ষণ সে জাতির মধ্যে যতই দোষ থাক, তার বিনাশ নেই। যুরোপীয় জাতির ভিতর যে-অস্বাস্থ্য রয়েছে তার প্রতিকারও তাদের মধ্যে আছে। যেখানে স্বাস্থ্যের প্রবলতা সেখানে রোগও আপাতত প্রবল হয়ে দেখা দেয়। কিন্তু, তৎসত্ত্বেও মানুষ বীচে। দুর্বল শরীরে তার প্রকাশ হলে লে মরে । আমরা এখন একট। নবযুগের আরম্ভকালে আছি। এখন নূতন কালের উপযোগী বল সংগ্রহ করতে হবে, যুদ্ধ করতে হবে প্রতিকূলতার সঙ্গে। আমাদের সমস্ত চিত্তকে ও শক্তিকে জাগরূক করে আমরা যদি দাড়াতে পারি তা হলেই আমরা বঁচিব । নইলে পদে পদে আমাদের পরাভব । আমাদের মজ্জার ভিতর জীর্ণতা ; এইজন্ত অত্যন্ত প্রয়োজন হয়েছে আমাদের যেটা তপস্তার দান সেটাকে যেন আমরা নষ্ট না করি, তপোভঙ্গ যেন আমাদের না হয়। মানবজীবনকে বড়ো করে দেখার শক্তি সব চাইতে বড়ো শক্তি। সেই শক্তিকে আমরা যেন রক্ষা করি। সংকীর্ণত প্রাদেশিকতার দ্বারা লে-শক্তিকে আমরা খর্ব করব না। এ জন্তে আমাদের অনেক লড়াই করতে হবে। সে লড়াই করতে ন পারলে আমাদের মৃত্যু নিশ্চয়। যুদ্ধের পথেই আমরা বীর্ষ পাব। ষে-আত্মসংযমের স্বারা মানুষ বড়ো শক্তি পেয়েছে তাকে অবিশ্বাস করে যদি বলি, সেটা পুরানো ফ্যাশন, এখন তার সময় গেছে, তা হলে আমাদের মৃত্যু। যে-ফল এখনও পাকবার সময় হয় নি তার ভিতর পোকা ঢুকেছে, এই আক্ষেপ মনের ভিতর যখন জাগে তখন সেটাকে কেউ যেন ব্যক্তিগত কলহের কথা বলে না মনে করেন । ঘে-সমস্ত লেখা সমাজের কাছে তিরস্কৃত হতে পারত যখন দেখি তাও সম্ভৰ হয়েছে, তখন নিঃসন্দেহে বুঝতে হবে, বাতালে কিছু ঘোরতর বিষপঞ্চার হয়েছে। এই মনের অাক্ষেপ নিয়ে হয়তে কিছু বলে থাকব । বেদনা কিছু ছিল দেশের দিকে, কালের দিকে, সাহিত্যের দিৰে তাকিয়ে। যদি কেউ মনে করেন, এই বেদন প্রকাশের অধিকার আমাদের নাই, অসংযতভাবে তারা যা বলেন সেটা এখনকার ডেমোক্রাটিক সাহিত্যে সত্য বলে গ্রহণ করতে হবে, তা হলে বলতে হবে, তাদের মতের সঙ্গে আমার মতের মিল নেই। যদি কেউ বলেন, আমরা সে দলের নই, আমি খুশি হব। মানুষের জন্য, দেশের জন্য, সমাজের জঙ্ক ধারা কাজ করেন,