পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫১২ ब्ररोौटज-ब्रछनांदलौ চিকিৎসা। কিন্তু, এই প্রসঙ্গে যদি সে কথাও লিখতে তা হলে বুঝতেম সেটাতে সাহিত্য-বহির্বর্তী বিশেষ কোনো উদেখ আছে। সাহিত্য-আলোচনায় যদি বল, অনেকে বলে ভীমনাগের সন্দেশ ভালো, আমি বলি ভালো নয়, তার দ্বারা সাহিত্যিক সাহসিকতা বা অপূৰ্বতার প্রমাণ হয় না। সর্বশেষে অভিজ্ঞতাকে অতিক্রম করে কেউ লিখতে পারে না। তোমরা বলতে পার, দরিত্রের মনোবৃত্তি আমি বুঝি না, এ কথা মেনে নিতে আমার আপত্তি নেই। তোমরা যদি বল, তোমাদের সাহিত্যের বিশেষত্ব দারিদ্র্যের অমুভূতি, আমি বলব সেটা গৌণ। তোমরা যদি সর্বদা বাস্পরুদ্ধ কণ্ঠে দরিদ্রনারায়ণ’ ‘দরিদ্রনারায়ণ কর তাতে ক’রে এমন একটা বায়ুবুদ্ধি হবে যাতে সাধারণ পাঠকেরা দরিদ্রনারায়ণ বললেই চোখের জলে ভেসে যাবে। তোমরা কথায় কথায় আধুনিক মাসিকপত্রে বল, আমরা আধুনিক কালের লোক, অতএব গরিবের জন্তে কঁাদব । এরকম ভঙ্গিমাবিস্তারের প্রশ্রয় সাহিত্যে অপকার করে। আমরা অর্থশাস্ত্র শেখবার জন্ত গল্প পড়ি না। গল্পের জন্ত গল্প পড়ি । ‘গরিবিয়ানা দরিত্রিয়ানা’কে সাহিত্যের অলংকার করে তুলে না। ভদী মাত্রেরই অসুবিধা এই যে, অতি সহজেই তার অনুকরণ করা যায়— অল্পবুদ্ধি লেখকের সেটা অপ্ৰয়স্থল হয়ে ওঠে । যখন তোমাদের লেখা পড়ব তখন এই বলে পড়ব না যে, এইবার গরিবের কথা পড়া যাক। গোড়ার থেকে ছাপ মেরে চিহ্নিত করে তোমরা নিজেদের দাম কমিয়ে দাও । দল বেঁধে সাহিত্য হয় না। সাহিত্য হচ্ছে একমাত্র স্বষ্টি যা মানুষ একলাই করেছে। যখন সেটা দল বাধার কোঠায় গিয়ে পড়ে তখন সেটা জার সাহিত্য থাকে না। প্রত্যেকের নিজের ভিতর অভিমান থাকা উচিত যে, আমি যা লিখছি ‘গরিবিয়ানা’ বা 'যুগ’ প্রচার করবার জন্য নয়, একমাত্র আমি যেটা বলতে পারি সেটাই আমি লিখছি। এ কথা বললেই লেখক যথার্থ সাহিত্যিকের আসন পায়। উপসংহারে এ কথাও আমি বলে রাখতে চাই, তোমাদের অনেক লেখকের মধ্যে আমি প্রতিভার লক্ষণ দেখেছি। আমি কামনা করি, তারা যুগ-প্রবর্তনের লোভে পড়ে তাদের লেখার সর্বাঙ্গে কোনো দলের ছাপের উলকি পরিয়ে তাকে সজ্জিত করা হল বলে না মনে করেন । তাদের শক্তির বিশুদ্ধ স্বকীয় রূপটি জগতে छौ cश्क । SW996: