পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●○br রবীন্দ্র-রচনাবলী পষ্ঠশিখরের পানে কৰি মধু-সখ উড়েছিল মধুগন্ধে, গন্ত উপত্যক করিবে আশ্রয় আজি স্পষ্টভাষণের প্রয়োজনে । দুরারোহ তব আসনের ঠাই-বদলের আমি করিতেছি আশা, সংশয় না থাকে কিছু তাই এই ভাষা । ১১ মার্চ, ১৯৪০ “মিলের কাব্য নিম্নোদধুত গদ্য ভূমিক-সহ ‘কবিতা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াहिज ১৯।১।৪১ তারিখের কথা । সন্ধ্যা হয়ে গেছে । বসে আছি শয়নকক্ষে কেদারায় হেলান দিয়ে । আমি ঠাট্ট করে বলে থাকি, আমার জীবনের প্রথম পালা কল্যাণরাগে, তখন স্বস্ব শরীরে চলাফের চলত ; দ্বিতীয় পালা এই কেদার রাগিণীতে অচল ঠাটে বাধা । আকাশ ছিল মেঘলা, ঠাও। হাওয়া বইছে, বৃষ্টি হচ্ছে টপ টপ করে । সুধাকান্ত বসে আছে পাশের চৌকিতে । হঠাৎ আমাকে বকুনি পেয়ে বসল। একটা কথা শুরু করলুম অকারণে, বলে গেলুম : যখন মনে ভাবি কিছু একটা হল, স্থখদুঃখের তীব্রতা নিয়ে এমন করে হল যে কোনো কালে তার ক্ষয় হবে বলে ধারণাই হয় না, ঠিক সেই মুহূর্তেই মহাকাল পিছনে বসে বলে মুখ ঢেকে তার চিহ্নগুলো মুছতে শুরু করে দিয়েছেন । কিছুকাল পরে দেখি, সাদা হয়ে গেছে ; মনে যদি বা স্মৃতি থাকে তবু যে-অস্থভূতি তার সভ্যতার প্রমাণ আজ লেশমাত্র তার বেদনা নাই । তা হলে যেটা হল .শষ পর্যন্ত সেটা কী । সংস্কৃত শ্লোকে প্রশ্ন আছে, রঘুপতির অধোধ্যাপুরী গেল কোথায়। রঘুপতির অযোধ্যা বহু লোকের বহু কালের নানাবিধ স্ব স্পষ্ট অনুভূতিতেই প্রতিষ্ঠিত, সেই বিপুল অনুভূতি গেল শূন্ত হয়ে । তা হলে যা ছিল সে কী ছিল । মন্ত একটা 'না' প্রকাও একটা ‘হায়ের আকার ধরেছিল । নাস্তিত্ব সে অস্তিত্বের জাল গেঁথেই চলেছে, আবার সে জাল গুটিয়ে নিচ্ছে নিজের মধ্যে । এই দুর্বোধ রহস্তকে বাস্তব বলব কেমন করে। এই যে ইন্দ্ৰজাল এর মধ্যে দুইয়ের মিল চলেইছে, তাই একে মিত্ৰাক্ষর কাব্য বলতে হবে— একের উপাদানে স্বষ্টি হয়ই না। স্বষ্টি জোড়-মিলনের কাব্য । গস্তের ধারা শেষকালে মুখে মুখে ছড়ার ছন্দে লাইনে লাইনে গাট বেঁধে চলল। অস্বস্থ শরীরে ও আষার একটা অপ্রকৃতিস্থতার লক্ষণ হয়ে উঠেছে । স্বধাকান্ত এরই