পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী ১৩৩২ সালে বঙ্গীয় সাহিত্যসম্মিলনের শিউড়ি-অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ সভাপতি হইবেন, এইরূপ কথা হইয়াছিল। ‘সাহিত্যসম্মিলন’ সেই উপলক্ষে রচিত হয় । ‘কবির অভিভাষণ প্রেসিডেনসি কলেজের রবীন্দ্র-পরিষদের সভাপতি শ্ৰীস্বরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্তের অভ্যর্থনার উত্তরে বলা হইয়াছিল । আলোচ্য রচনাটি উক্ত মৌখিক অভিভাষণের কবির স্বকৃত অস্থলেখন । ১নং ‘রবীন্দ্র-পরিষদ-নিষ্ক্রান্তি’-রূপে ‘রবীন্দ্রপরিষদে কবির অভিভাষণ’ নামে উহা স্বতন্ত্র পুস্তিকাকারে প্রকাশিত হয় । ‘সাহিত্যরূপ’ ও ‘সাহিত্য-সমালোচনা" বিশ্বভারতী-সম্মিলনীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভার দুইটি বিশেষ অধিবেশনের রবীন্দ্রনাথ লিখিত বিবরণ । ‘সাহিত্যধর্ম’ প্রবন্ধ প্রকাশের ফলে সাহিত্যিকদের মধ্যে যে-আলোড়ন জাগিয়াছিল ( ঐদিলীপকুমার রায়কে লিখিত পূর্বসংকলিত পত্র দ্রষ্টব্য ) তাহার পরিণামে বাংলার প্রবীণ ও নবীন সাহিত্যিকদের একত্রে আলোচনার উদ্দেশ্যে এই সভা আহবান করা হইয়াছিল । ১৩৩৪ সালের চৈত্র মাসে যথাক্রমে ৪ ও ৭ তারিখে বিশ্ব ভারতী-সম্মিলনীর উপরোক্ত দুইটি অধিবেশন জোড়াসাকোয় বিচিত্রাভবনে অনুষ্ঠিত হয় । সভার আলোচনায় স্বত্রধারের কর্তব্য রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং সম্পাদন করেন । ‘পঞ্চাশোধবর্ষ বঙ্গীয় সাহিত্যসম্মিলনের কলিকাতায় ভবানীপুরে অনুষ্ঠিত উনবিংশ অধিবেশনের জন্ত ( ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ ) লিখিত অভিভাষণ । সে সময়ে বাংলার বাহিরে ব্যস্ত থাকায় রবীন্দ্রনাথ উক্ত অধিবেশনে উপস্থিত হইয়া সভাপতির আসন গ্রহণ করিতে বা অভিভাষণ পাঠ করিতে পারেন নাই । রচনাটি অনতিবিলম্বে ‘বিচিত্রা’য় বাহির হয় । ‘বাংলাসাহিত্যের ক্রমবিকাশ’ কলিকাতায় প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য-সম্মিলনের দ্বাদশ অধিবেশনের ( ২৭ ডিসেম্বর ১৯৩৫ ) উদবোধন অভিভাষণ ।