পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰহাসিনী মাজা-ঘষা শেষ করে আঙিনায় ছোটে— ধড়ফড়ে জ্যাস্ত মাছ কোটে দুই হাতে ল্যাজামুড়ো জীপটিয়ে ধ’রে স্বনিপুণ কবজির জোরে, ছাই পেতে বঁটির উপরে চেপে ব’লে, কোমরে অঁ চল বেঁধে ক’ষে । কুটিকুটি বানায় ইচোড় ; চাকা চাকা করে থোড়, আঙলে জড়ায় তার স্থতো ; মোচাগুলো ঘস ঘস কেটে চলে ব্রুভ ; চালভারে বিশ্লেষণ করে খরধারে । বেগুন পটোল আলু খ ও খ ও হয় সে আগুস্তি । তারপরে হাত বেড়ি খুস্তি ; তিন-চার দফা রান্ন। সে নানা ফরমাশে— আপিলের, ইস্কুলের, পেট-রোগ। রুগির কোনোটা, সিদ্ধ চাল, সরু চাল, ঢেকিছণটা, কোনোটা বা মোট ববে পাবে ছুটি বেলা হবে আড়াইট। । বিড়ালকে দিয়ে কাটাকুটি পান-দোক্ত মুখে পুরে দিতে যাবে ঘুম ; ছেলেটা চেঁচায় যদি পিঠে কিল দেবে ধুমাধুম, বলবে বজাত ভারি” । তার পরে রাত্রে হবে রুটি আর বালি তরকারি । জনাৰ্দন ঠাকুরের পানাপুকুরের পাড়ের কাছটা ঢাকা কলমির শাকে । গা ধুয়ে তাহারই এক ফাকে, & Co.