পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আকাশপ্রদীপ বাকি সব জঙ্গল আগাছা । একটা লাউয়ের মাচা কবে যত্বে ছিল কারো, ভাঙা চিহ্ন রেখে গেছে পাছে । বিশীর্ণ গোলক চাপ-গাছে পাতাশূন্ত ডাল অভূগ্নের ক্লিষ্ট ইশারার মতো । বাধানে চাতাল ; ফাটাফুটো মেঝে তার, তারি থেকে গরিব লতাটি যেত চোখে-না-পড়ার ফুলে ঢেকে । পাচিল ছ্যাংলা-পড়া ছেলেমি খেয়ালে যেন রূপকথা গড়া কালের লেখনি-টানা নানামতো ছবির ইঙ্গিতে, সবুজে পাটলে আঁকা ক’লে সাদা রেখার ভঙ্গীতে । সদ্য ঘুম থেকে জাগা প্রতি প্রাতে নূতন করিয় ভালো-লাগ। ফুরাত না কিছুতেই । কিসে যে ভরিত মন সে তো জানা নেই । কোকিল দোয়েল টিয়ে এ বাগানে ছিল না কিছুষ্ট, কেবল চড়ুই, আর ছিল কাক । তার ডাক সময় চলার বোধ মনে এনে দিত। দশটা বেলার রোদ সে ডাকের সঙ্গে মিশে নারিকেল-ভালে দোল থেত উদাস হগওয়ার তালে তালে । কালে অঙ্গে চটুলতা, গ্রীবাভঙ্গী, চাতুরী সতর্ক জাখিকোণে, পরম্পর ডাকাডাকি ক্ষণে ক্ষণে— এ সিক্ত বাগানটিরে দিয়েছিল বিশেষ কী দাম । দেখিতাম, আবছায়া ভাবনায় ভালোবাসিতাম । [ শাস্তিনিকেতন ] "טסו • לו 38