অীকণশপ্ৰদীপ
ছন্দের লাগাল দোল আধো জাগ। কল্পনার শিহ্রদোলায়,
জnধার-আলোর বন্দ্বে যে প্রদোষে মনেরে ভোলায়, সত্য-অসত্যের মাঝে লোপ করি সীমা
দেখা দেয় ছায়ার প্রতিমা । ছড়া-বাধা চতুৰ্দোলা চলেছিল যে-গলি ৰাহিয়া
চিহ্নিত করেছে মোর হিয়া গভীর নাড়ীর পথে অদৃত রেখায় একেবেঁকে ।
তারি প্রাস্ত থেকে অশ্রুত সানাই বাজে অনিশ্চিত প্রত্যাশার স্বরে দুর্গম চিস্তার দূরে দূরে । সেদিন সে কল্পলোকে ৰেহারাগুলোর পদক্ষেপে
বক্ষ উঠেছিল কেঁপে কেঁপে,
পলে পলে ছন্দে ছন্দে আসে তারা আসে না তবুও,
পথ শেষ হবে না কহু ও ।
সে কাল মিলাল । তার পরে, বধু-আগমনগাথা
গেয়েছে মর্মস্ব ছন্দে অশোকের কচি রাঙা পাতা ;
বেজেছে বর্ষণ ঘন শ্রী বণের বিনিদ্র নিশীথে ;
মধ্য পহ্নে করুণ রাগিণীতে
বিঙ্গেণী পাস্থের প্রান্ত স্বরে । অতিদূর মায়াময়ী বধূর নূপুরে ত প্রায় প্রত্যন্তদেশে জাগায়েছে ধ্বনি মৃদু রণরণি । ঘুম ভেঙে উঠেছিছ জেগে, পূর্বকাশে রক্ত মেঘে
দিয়েছিল দেখা
অনাগত চরণের অলত্তের রেখা ।
কানে কানে ডেকেছিল ষোরে অপরিচিতার কণ্ঠ জিঙ্ক নাম ধ’রে—
সচকিতে
দেখে তবু পাই নি দেখিতে ।
bró:
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৫
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
