রাজা వ(t সুদৰ্শন ! বলিস কী ? সুন্দর নন ? সুরঙ্গম । না রানীমা । সুন্দর বললে তাকে ছোটো করে বলা হবে । সুদৰ্শন । তোর সব কথা ওই একরকম । কিছু বোঝা যায় না । সুরঙ্গমা। কী করব মা, সব কথা তো বোঝানো যায় না । বাপের বাড়িতে অল্পবয়সে অনেক পুরুষ দেখেছি, তাদের সুন্দর বলতুম। তারা আমার দিনরাত্রিকে আমার সুপদুঃপকে কী নাচন নাচিয়ে বেড়িয়েছিল সে আজও ভুলতে পারি নি। আমার রাজা কি তাদের মতো ? সুন্দর! ককৃথনো না । সুদৰ্শন । সুন্দর নয় ? সুরঙ্গমা। ই, তাই বলব—সুন্দর নয়। সুন্দর নয় বলেই এমন অদ্ভুত এমন আশ্চর্য ! যপন বাপের কাছ থেকে কেড়ে আমাকে তার কাছে নিয়ে গেল তপন সে ভয়ানক দেপলুম। আমার সমস্ত মন এমন বিমুখ হল যে কটাক্ষেও তার দিকে তাকাতে চাইতুম না । তার পরে এপন এমন হয়েছে যে যখন সকালবেলায় তাকে প্রণাম করি তপন কেবল তার পায়ের তলার মাটির দিকেই তাকাই—আর মনে হয় এই আমার ঢের -আমার নয়ন সার্থক হয়ে গেছে । সুদৰ্শন । তোর সব কথা বুঝতে পারি নে তবু শুনতে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু যাই বলিস তাকে দেপবই। আমার কবে বিবাহ হয়েছিল মনেও নেই ; তপন আমার জ্ঞান ছিল না । মার কাছে শুনেছি তাকে দৈবজ্ঞ বলেছিল তার মেয়ে র্যাকে স্বামিরূপে পাবে পৃথিবীতে তার মতো পুরুষ আর নেই। মাকে কতবার জিজ্ঞাসা করেছি আমার স্বামীকে দেপতে কেমন—তিনি ভালো করে উত্তর দিতেই চান না, বলেন, আমি কি দেখেছি—আমি ঘোমটার ভিতর থেকে ভালো করে দেপতেই পাই নি । যিনি সুপুরুষের শ্ৰেষ্ঠ তাকে দেখব এ লোভ কি ছাড়া যায় ! সুরঙ্গম । ওই যে মা একটা হাওয়া আসছে। সুদৰ্শন । হাওয়া ? কোথায় হাওয়া ? সুরঙ্গম । ওই যে গন্ধ পাচ্ছ না । সুদৰ্শন । না, কই গন্ধ পাচ্ছি নে তো । সুরঙ্গমা। বড়ো দরজাটা খুলেছে—তিনি আসছেন, ভিতরে আসছেন। সুদৰ্শন । তুই কেমন করে টের পাস ? সুরঙ্গমা । কী জানি মা। আমার মনে হয় যেন আমার বুকের ভিতরে পায়ের শব পাচ্ছি। আমি তার এই অন্ধকার ঘরের সেবিকা কিনা তাই আমার একটা বোধ জন্মে গেছে—আমার বোঝবার জন্তে কিছুই দেখবার দরকার হয় না।
