পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা చ్చెe (t ঠাকুরদাকে একদল লোকের টানাটানি করিয়া লইয়। প্রবেশ প্রথম । ঠাকুরদা, তোমাকে আজ এমন করে সাজালে কে ? মালাটি কোন নিপুণ হাতের গাথা ? ঠাকুরদা। ওরে বোকার, সব কথাই কি পোলসা করে বলতে হবে নাকি ? কিছু ঢাকা থাকবে না ? দ্বিতীয় । দরকার নেই দাদা, তোমার তো সব ফাস হয়েই আছে । আমাদের কবিকেশরী তোমার নামে যে গান বেঁধেছে শোন নি বুঝি ? সে যে ঘরে ঘরে রটে গেছে । ঠাকুরদা । একটা ঘরই যথেষ্ট, ঘরে ঘরে শুনে বেড়াবার কি সময় আছে ? তৃতীয় । ওটা তোমার নেহাত ফণক বড়াই । ঠাকরুনদিদি তোমাকে আঁচলে বেঁধে রাপে বটে ! পাড়ার যেখানে যাই সেপানেই তুমি, ঘরে থাক কপন ? ঠাকুরদা। ওরে তোদের ঠাকরুনদিদির আঁচল লম্ব আছে। পাড়ার যেপানে যাই সে-আঁচল ছাড়িয়ে যাবার জো নেই। ত কবি কী বলছেন শুনি । তৃতীয় । তিনি বলছেন, গান যেপানে রূপের প্রভা নয়নলোভ, সেপানে তোমার মতন ভোলা কে । ( ঠাকুরদাদা ) ষেপানে রসিক-সভা পরম শোভা সেপানে এমন রসের ঝোলা কে । ( ঠাকুরদাদা ) ঠাকুরদা । আরে চুপ চুপ । এমন বসস্তের দিনে তোরা এ কী গান ধরলি রে ? প্রথম । কেন ধরণুম জান না ? গান যেপানে গলাগলি কোলাকুলি তোমারি বেচাকেনা সেই হাটে, পড়ে না পদধূলি পথ ভুলি যেখানে ঝগড়া করে ঝগড়াটে, যেখানে ভোলাভুলি খোলাখুলি সেখানে তোমার মতন খোলা কে— ঠাকুরদাদা ।