পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী بeb اد প্রথম । লোকটার লজ্জা নেই হে। একে তে যা না বলবার তাই বলে, তার পরে আবার সেটা প্রমাণ করে দিতে চায় ! দ্বিতীয় । ওহে, দাও না ওকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে একেবারে মাটি-প্রমাণ করে দাও না । ঠাকুরদা । আরে ভাই, রাগ ক’রো না । ওর রাজা কুৎসিত এই বলে বেড়িয়েই ও-বেচারা আজ উংসব করতে বেরিয়েছিল । যাও ভাই বিরূপাক্ষ, ঢের লোক পাবে যারা তোমার কথা বিশ্বাস করবে, তাদের নিয়ে দল বেঁধে আজ আমোদ করে গে । [ প্রস্থান বিদেশী দলের পুনঃপ্রবেশ কৌশুিল্য। সত্যি বলছি ভাই, রাজা আমাদের এমনি অভ্যেস হয়ে গেছে যে, এখানে কোথাও রাজা না দেখে মনে হচ্ছে দাড়িয়ে আছি, কিন্তু পায়ের তলায় যেন মাটি নেই ! ভবদত্ত। দেপো ভাই কৌণ্ডিল্য, আসল কথাটা হচ্ছে এদের মূলেই রাজা নেই । সকলে মিলে একটা গুজব রটিয়ে রেখেছে। কৌশুিল্য। আমারও তো তাই মনে হয়েছে। আমরা তো জানি, দেশের মধ্যে সকলের চেয়ে বেশি করে চোপে পড়ে রাজা—নিজেকে খুব কষে না দেপিয়ে সে তে৷ ছাড়ে না । জনাৰ্দন । কিন্তু এ-রাজ্যে আগাগোড়া যেমন নিয়ম দেখছি রাজা না থাকলে তা এমন হয় না । ভবদত্ত। এতকাল রাজার দেশে বাস করে এই বুদ্ধি হল তোমার ? নিয়মই যদি থাকবে তাহলে রাজা থাকবার আর দরকার কী ? জনাৰ্দন । এই দেপো না আজ এত লোক মিলে আনন্দ করছে, রাজা না থাকলে এরা এমন করে মিলতেই পারত না । ভবদত্ত । ওহে জনাৰ্দন, আসল কথাটাই যে তুমি এড়িয়ে যাচ্ছ । একটা নিয়ম আছে সেটা তো দেখছি, উংসব হচ্ছে সেটাও স্পষ্ট দেপা যাচ্ছে, সেখানে তো কোনো গোল বাধছে না—কিন্তু রাজা কোথায়, তাকে দেখলে কোথায় সেইটে বলে । জনাৰ্দন। আমার কথাটা হচ্ছে এই যে, তোমরা তো এমন রাজ্য জান যেখানে রাজা কেবল চোখেই দেখা যায় কিন্তু রাজ্যের মধ্যে তার কোনো পরিচয় নেই, সেখানে কেবল ভূতের কীর্তন—কিন্তু এখানে দেখো—