পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা ఇ9 ঠাকুরদা। তোর এমন বুদ্ধি কবে হল ? আমার রাজা ননির পুতুল, আর তুই তাকে ছায়া করে রাখবি ! , কুম্ভ। যা বল দাদা দেখতে বড়ে সুন্দর-আজ তে এত লোক জুটেছে অমনটি কাউকে দেগলুম না। ’ ঠাকুরদা। আমার রাজা যদি বা দেখা দিত তোদের চোপেই পড়ত না । দশের সঙ্গে তাকে আলাদা বলে চেনাই যায় না—সে সকলের সঙ্গেই মিশে যায় যে । ੱਚ। ধ্বজ দেখতে পেলুম যে গো । ঠাকুরদা । ধ্বজায় কী দেথলি । কুম্ভ। কিংশুক ফুল আঁকা—একেবারে চোপ ঠিকরে যায়। ঠাকুরদা। আমার রাজার ধ্বজায় পদ্মফুলের মাঝখানে বজ্র আঁকা । কুম্ভ । লোকে বলে, এই উংসবে রাজা বেরিয়েছে। ঠাকুরদা। বেরিয়েছে বই কি । কিন্তু সঙ্গে পাইক নেই, বাছি নেই, আলো নেই, কিছু না । কুম্ভ । কেউ বুঝি ধরতেই পারে না । ঠাকুরদা । হয়তো কেউ কেউ পারে। কুম্ভ । যে পারে সে বোধ হয় যা চায় তাই পায় । ঠাকুরদা । সে যে কিছু চায় না । ভিক্ষুকের কর্ম নয় রাজাকে চেনা । ছোটে ভিক্ষুক বড়ো ভিক্ষুককেই রাজা বলে মনে করে বসে। আজ যে লোকটা গা-ভরা গয়না পরে রাস্তার দুই ধারের লোকের দুই চক্ষুর কাছে ভিক্ষে চেয়ে বেড়িয়েছে তোরা লোভীরা তাকেই রাজা বলে ঠাউরে বসে আছিস —ওই যে আমার পাগলা আসছে। আয় ভাই আয়—আর তো বাজে বকতে পারি নে—একটু মাতামাতি করে নেওয়া যাক । পাগলের প্রবেশ ও গান তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই । সেই মনোহরণ চপল চরণ সোনার হরিণ চাই ॥ সে যে চমকে বেড়ায় দৃষ্টি এড়ায় যায় না তারে বাধা,