পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (দশম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* >b" রবীন্দ্র-রচনাবলী সকল আগন্তুকের সঙ্গে একবার মিলে নিতে হবে । ওই আমার অকিঞ্চনের দল আসছে । অকিঞ্চনের দল। ঠাকুরদা, তোমাকে খুঁজে আজ আমাদের দেরি হয়ে গেল । ঠাকুরদা। আজ আমি দ্বারে, আজ আমাকে অন্য জায়গায় খুজলে মিলবে কেন ? ' প্রথম । তুমি যে আমাদের উংসবের স্বত্রধর । ঠাকুরদা। তাই তো আমি দ্বারে । দ্বিতীয়। আজ তুমি বুঝি এই কুম্ভ সুধন মুষল তোষল এদের নিয়েই আছ ? দেশবিদেশের কত রাজা এল তাদের সঙ্গে পরিচয় করে নেবে না ? ঠাকুরদা। ভাই এরা সব সরল লোক—চুপ করে কেবল এদের পাশে দাড়িয়ে থাকলেও এরা ভাবে এদের যেন কত সেবা করলুম, আর যারা মস্তলোক তাদের কাছে মুগুটাও যদি খসিয়ে দেওয়া যায় তারা মনে করে লোকটা বাজে জিনিস দিয়ে ঠকিয়ে গেল । প্রথম । এখন চলো দাদা ! ঠাকুরদা। না ভাই, আজ আমার এইখানেই দাড়িয়ে দাড়িয়ে চল । সকলের চলাচলেই আমার মন ছুটছে। তবে আর কি ; এইবারে শুরু করা যাক । সকলের গান মোদের কিছু নাই রে নাই, আমরা ঘরে-বাইরে গাই তাই রে নাই রে নাই রে না । যতই দিবস যায় রে যায় গাই রে সুপে হায় রে হায় তাই রে নাই রে নাই রে না । যারা সোনার চোরাবালির পরে পাক ঘরের ভিত্তি গড়ে তাদের সামনে মোরা গান গেয়ে যাই তাই রে নাই রে নাই রে না । যখন থেকে থেকে গাঠের পানে গাঠকাটার দৃষ্টি হানে, তখন শূন্ত বুলি দেখায়ে গাই তাই রে নাই রে নাই রে না ।